ব্রিটেনের পর এবার ভারতেও শুরু হচ্ছে অক্সফোর্ডের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল। ছাড়পত্র দিলেন ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) ডা.ভিজি সোমানি। জানালেন, সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এবার ভারতে টিকার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালাতে পারবে। তবে কিছু শর্তও দিল ডিসিজিআই। জানিয়ে দিল, ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে ও পরে স্ক্রিনিংয়ের সময় অতিরিক্ত সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। অতিরিক্ত তথ্য রাখতে হবে এবং সেগুলো ডিজিসিআই-কে প্রয়োজনে জানাতে হবে। ভ্যাকসিন দেওয়ার পর তার কী প্রভাব পড়ছে স্বেচ্ছাসেবীদের শরীরে, কোনও বিরূপ প্রভাব পনছে কিনা, সে দিকেও নজর দিতে হবে সেরাম ইনস্টিটিউটকে। ভ্যাকসিনে কী কী ওষুধ ব্যবহার করা হল, সেই তথ্যও ডিসিজিআই-কে দিতে বাধ্য থাকবে সেরাম ইনস্টিটিউট। অবশ্যই প্রোটোকল মেনে। ৫ সেপ্টেম্বর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং তাদের সহযোগী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বন্ধ স্থগিত রাখে। জানায়, এই ভ্যাকসিন দেওয়ার পর এক স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্বাধীন কমিটি বিষয়টি খতিয়ে না দেখা পর্যন্ত ট্রায়াল বন্ধ থাকবে। এর পর ১১ সেপ্টেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউটকে ভারতে অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাকসিনের মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বন্ধ রাখতে বলে ডিসিজিআই। সব খতিয়ে দেখে ব্রিটেনের মেডিসিনস হেলথ রেগুলেটরি অথরিটি অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে ছাড়পত্র দেয়। এই টিকা উত্পাদনে অক্সফোর্ড এবং ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে সহায়তা করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। দুনিয়ার সবথেকে বড় ভ্যাকসিন উত্পাদনকারী সংস্থা। মঙ্গলবার ব্রিটেন এবং ভারতের ডেটা অ্যান্ড সেফটি মনিটরিং বোর্ড (ডিএসএমবি)-র সুপারিশ জমা দেয় সেরাম। ডিসিজিআই-এর কাছে ভারতে ফের ট্রায়াল চালুর অনুমতি চায়। ব্রিটেন এবং ভারত, দুই দেশের ডিএসএমবি-ই ফের ট্রায়াল চালুর অনুমতি দিয়েছে। তবে বিশেষ ব্যবস্থা এবং সতর্কতা অবলম্বনের শর্তও দিয়েছে।