রবিবার ভারতকে ১২৮ রানে হারিয়ে পর পর দু’বার চ্যাম্পিয়ন হলেন মহম্মদ হ্যারিসরা। শক্তি আর অভিজ্ঞতার নিরিখে প্রতিপক্ষের চেয়ে এগিয়ে থাকা সত্বেও ফাইনালে মুখ থুবড়ে পড়লেন যশ ঢুল-সাই সুদর্শনরা। এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই শুরু থেকে কার্যত ঝড় তোলেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা। গ্রুপ লিগে ভারতের কাছে হারের লজ্জা যাতে দ্বিতীবার পেতে না হয় সেদিকে বিশেষ নজর ছিল পাক ব্যাটারদের। দুই ওপেনার সৈয়ম আয়ুব এবং সাহিবজাদা ফারহানের ওপেনিং জুটি ভারতীয় বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করে ১৭ ওভারে ১২১ রান তোলেন। মানব সুতার সৈয়ম (৫৯) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন। খানিকবাদে সাজঘরে ফেরেন সাহিবজাদাও (৬৫)। এর পর ম্যাচের রং খানিকটা বদলে গিয়েছিল রিয়ান পরাগের দুর্দান্ত স্পেলে। পর পর দু’বলে তিনি তুলে নেন ওমাইর ইউসুফ এবং কাশিম আক্রমকে। অধিনায়ক মহম্মদ হ্যারিসও বেশি ক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। বিপাকে পড়ে যাওয়া দলকে উদ্ধার করেন তৈয়ব এবং মুবাসির খান। ঝোড়ো ইনিংস খেলে ভারতীয় বোলারদের চাপে ফেলে দেন দুই পাক ব্যাটার। তৈয়ব ৭১ বলে ১০৮ রান করেন। মুবাসির করেন ৩৫ রান। ৫০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ৩৫২ রান তোলে পাকিস্তান। জয়ের জন্য বিশাল রান তাড়া করতে নেমে চাপে পড়ে যায় ভারতীয় ব্যাটাররা। আগের ম্যাচে অপরাজিত শতরান করা সুদর্শন ২৯ রানে সাজঘরে ফেরেন। তিন নম্বরে নেমে নিকিন জোস করেন ১১ রান। খানিকটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা চালানো ওপেনার অভিষেক শর্মাকে ৬১ রানের মাথায ফিরিয়ে দেন সুফিয়ান মুকিম। অধিনায়ক যশ ঢুলও বড় রানের ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩৯ রানের বেশি করতে পারেননি। বাকি ব্যাটারদের ভূমিকা ছিল আয়ারাম-গয়ারামের। শেষ পর্যন্ত ৪০ ওভারে ২২৪ রানে গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস। পাকিস্তানের হয়ে আরশাদ ইকবাল, মেহরান মুমতাজ ও ওয়াসিম জুনিয়র দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। সুফিয়ান মুকিম নিয়েছেন তিন উইকেট।