কলকাতা

জামিনের আবেদন খারিজ, পার্থ-অর্পিতাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের দিল আদালত

পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত ৷ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাঁদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রেখে জেরা করার আবেদন জানিয়েছেিল । পার্থর আইনজীবীর জামিনের আবেদন এ দিন খারিজ করে দিয়েছে আদালত ৷ ১৮ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৷ ইডির তরফে এ দিন বলা হয়, এমএস আনন্দ প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটা ট্রাস্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে ৷ যেখানে পার্থ এবং অর্পিতার পরিবারের নামে টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে । অন্তত ৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ইডি-র আইনজীবী ।পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, “৩১টি জীবন বিমার নথি দেখানো হয়েছে । সমস্ত মিথ্যা । নমিনি করা হয় পরিবারের লোকজনকে । অর্পিতার সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোনও যোগাযোগ ছিল না । এমন কেউ বলেনি বা অভিযোগ করেনি যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় টাকা নিয়েছেন । পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও কাউকে প্রস্তাব দেননি টাকার বিনিময়ে চাকরি করে দেওয়ার । কী করে একজন ব্যক্তিকে তথ্য প্রমাণ ছাড়া অভিযুক্ত হিসাবে ধরা হচ্ছে । তাঁর বর্তমানে ৭২ বছর বয়স । এতদিন ধরে সমস্ত সহযোগিতা করছেন । তাঁর আরও ভালো চিকিৎসার প্রয়োজন । তিনি বিধায়ক পদ ছেড়ে দিতে চান । সাধারণ মানুষের মতো জীবন যাপন করতে চান ৷”পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী এ দিন আদালতে আরও বলেন, “ইডি এই মামলায় তদন্ত করছে এই অপরাধের পদ্ধতি নিয়ে । ইডি এখনও পার্থর বিরুদ্ধে কোনও নথি পেশ করতে পারেনি । শুধুমাত্র এই তদন্তে সাহায্য করছেন না বলেই এতদিন ইডি হেফাজতে নিল । তারা কি চায় তিনি নিজে দোষ কবুল করুন ? তিনি নিজেও জানেন না, কি ধরনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে ! ইডি জানিয়েছে, 31টি জীবন বিমায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম আছে নমিনি হিসেবে । এটা কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দোষী হিসাবে প্রামণ করার জন্য যথেষ্ট ?” জবাবে ইডির তরফে বলা হয়, “অর্পিতা ও পার্থর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একটি যৌথ মালিকানার কোম্পানির শেয়ারের স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে । ১ নভেম্বর, ২০১২ সালে তৈরি হয় এই কোম্পানি । এটা প্রমাণ করে যে একটা বিরাট অঙ্কের অর্থ তছরুপ করা হয়েছে । সেই কারণে বিচারবিভাগীয় হেফাজতের আবেদন জানানো হচ্ছে এবং সেই হেফাজত চলাকালীন জেলে গিয়ে জেরার আর্জি জানাচ্ছি আমরা ।”