দেশ

অপরাজিতাই দেশের মডেল হওয়া উচিত, মহারাষ্ট্রেও ধর্ষণ-বিরোধী বিল আনা দরকার, মমতার দেখানো পথে হাঁটার ভাবনা! 

 বাংলা আজ যা ভাবে, গোটা দেশ আগামিকাল সেটাই ভাবে। সেটাই ভাবতে হবে। নারী সুরক্ষার স্বার্থে ঐতিহাসিক ‘অপরাজিতা’ ধর্ষণ-বিরোধী বিল আনার পর, দেশের ইতিহাসে নতুন নজির সৃষ্টি হয়েছে। ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অপরাজিতা বিলটিকে স্বাগত জানিয়েছেন শরদ পাওয়ারের মতো জাতীয় স্তরের প্রবাদপ্রতিম নেতাও।  তিনি আওয়াজ তুলেছেন, এটা একটা মডেল। এটা মহারাষ্ট্রে হওয়া উচিত, গোটা দেশেও হওয়া উচিত।  মমতার সুরেই ধর্ষকদের ফাঁসির দাবি জানালেন শরদ পাওয়ার।  শরদ পাওয়ার বলেছেন, ‘মহারাষ্ট্রের উচিত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পেশ করা ‘অপরাজিতা বিলে’র মতই একটি বিল আনার কথা বিবেচনা করা। আমার দল এ ধরনের বিল সমর্থন করবে। মহারাষ্ট্রে এখনই কোন বিধানসভা অধিবেশন হবে না কারণ সামনেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আমরা আমাদের নির্বাচনী প্রচারে এ বিষয়টি তুলে ধরব এবং নির্বাচনী ইস্তেহারেও এই ধরণের বিলের উল্লেখ থাকবে”। আরজি কর কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে ধর্ষণ-বিরোধী কড়া আইন আনার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মর্মে মঙ্গলবার ধর্ষণ-বিরোধী অপরাজিতা বিল বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে পেশ করে রাজ্য সরকার। অপরাজিতা বিল প্রসঙ্গে মমতা বললেন, ‘‘এটা একটা ইতিহাস! প্রধানমন্ত্রী পারেননি। আমরা পারলাম। প্রধানমন্ত্রী দেশের লজ্জা! উনি মেয়েদের রক্ষা করতে পারেননি।সব রাজ্য এটা আগামী দিন মনে করবে। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। বিজেপির মন্ত্রীদের পদত্যাগ দাবি করছি। রাজ্যে যে মুখ্যমন্ত্রীরা আছেন তাঁদের পদত্যাগ দাবি করছি। বিরোধী দলনেতা গুলি চালানোর কথা বলেছেন, তাঁরও পদত্যাগ দাবি করছি। আরজি করের দোষীদের ফাঁসি হোক, এটা আমরা চাই।’’ এবার মমতার আনা ধর্ষণ বিরোধী বিলকে সমর্থন করে মহারাষ্ট্রে একই ধরণের বিল আনার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছেন এনসিপি (এসপি) সভাপতি শরদ পাওয়ার।