দেশ

পিএম কেয়ার্স ফান্ড:‌ সরকারি তহবিল, তবে প্রশ্ন করা যাবে না!‌ ফের বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য কেন্দ্রের

পিএম কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে কেন্দ্রের বক্তব্যে ফের বিভ্রান্তি ছড়াল। আগে কেন্দ্র জানিয়েছিল, পিএম কেয়ার্স সরকারি তহবিল নয়। ওয়েবসাইটেও লেখা রয়েছে, ‘‌প্রাইভেট’‌!‌ কিন্তু সাম্প্রতিক আরটিআই-এর উত্তরে মোদি সরকারের দাবি, তহবিল তৈরি করেছে কেন্দ্র, তার নিয়ন্ত্রণও ভারত সরকারের হাতে। তা সত্ত্বেও এই তহবিল আরটিআই-এর আওতায় পড়ে না। গত ২৪ ডিসেম্বরে কেন্দ্রের উত্তরে লেখা রয়েছে, ‘‌দেশি-বিদেশি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, কর্পোরেট, দেশের নাগরিক এবং প্রবাসীরা অনুদান দিয়েছে এই তহবিলে। সংশ্লিষ্ট সরকারের অনুদানে এই তহবিল চলে না এবং এটি ট্রাস্টি দ্বারা পরিচালিত। অর্থাত্‍ আরটিআই আইনের ২ (‌এইচ) ধারা অনুযায়ী, কেউই এই তহবিল সম্পর্কে জানতে চেয়ে আবেদন করতে পারেন না। কারণ এটি আরটিআই-এর আওতাতেই আসে না।’‌
তহবিল তৈরি হয়েছে গত ২৭ মার্চ। সেই সময়ে জানানো হয়েছিল, তহবিলের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে নেই। কিন্তু এখন সরকার বলছে, এটি সরকারি তহবিল, কিন্তু এই তহবিল সম্পর্কে কোনও তথ্য প্রকাশ করা যাবে না।
পিএম কেয়ার্স ট্রাস্ট দিল্লির রেভিনিউ বিভাগের আওতায় নথিভুক্ত করা হয়েছে। ওই ট্রাস্ট বডির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী নিজে, এছাড়াও মন্ত্রিসভার অন্যান্য মন্ত্রীরাও রয়েছেন। সরকারের তরফেও বারেবারে ঘোষণা করা হয়েছে, কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই তহবিল গড়েছেন। যদিও সম্প্রতি সরকার যে ‘‌ট্রাস্ট ডিড’‌ প্রকাশ করেছে, তাতে এই তহবিলকে ‘‌সরকারি ট্রাস্টের অধীনে’‌ বলা হয়নি। ২৭ মার্চে জানানো হচ্ছে, পিএম কেয়ার্স সরকার পরিচালিত নয়, তাই কর্পোরেট অনুদান নেওয়া হবে না!‌ ঠিক তার পরদিনই কেন্দ্রীয় ‘‌কর্পোরেট-অ্যাফেয়ার্স’‌ মন্ত্রকের তরফে স্বারকলিপি প্রকাশ করে এই তহবিলকে ‘‌কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি’‌ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাত্‍ পিএম কেয়ার্সকে সরকারি তহবিল ঘোষণা না করে কর্পোরেট অনুদানের পথ পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। দু’‌মাস পর ২৬ মার্চে এই ফান্ডকে ‘‌কোম্পানি অ্যাক্ট’‌-এর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। অর্থাত্‍ সরকারি তহবিল না হওয়া সত্ত্বেও ওই মাস দুয়েক ধরে কর্পোরেট অনুদান নেওয়া হয়েছে পিএম কেয়ার্সে।