শুক্রবার সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করতে হোয়াইট হাউস ওভাল অফিসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। এই বৈঠকে জো বাইডেনের ট্যুইট, ‘করোনা থেকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা আমরা দুই দেশে হাত মিলিয়ে করতে চাই। ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকাকে অবাধ এবং বাণিজ্য বান্ধব হিসেবে রাখতে ইন্দো-মার্কিন সম্পর্ককে আরও মজবুত করার লক্ষেই এই বৈঠক।‘ প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এটাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাইডেনের মুখোমুখি বৈঠক। ৪ দিনের মার্কিন সফরে ইতিমধ্যে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং মার্কিন সংস্থার সিইওদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে, ভারতের তরফে ভিসা নীতির বদল, টিকা রফতানি নীতি লাঘব এবং বিনিয়োগ স্বার্থে প্রস্তাব রাখা হতে পারে। পাশাপাশি আফগানিস্তান সঙ্কট এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের প্রভাব খর্ব নিয়েও আলোচনা করতে পারে দুই দেশ। আফগান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর মধ্য এবং পশ্চিম এশিয়ায় একটা শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে। সেই স্থানে মার্কিন প্রভাব অটুট রাখতে কথা হতে পারে দুই রাষ্ট্রনেতার। এদিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের জন্য তাঁর পিতামহের কিছু পুরনো নথির কপি নিয়ে গেছেন মোদী। কমলার দাদু একসময়ে ভারত সরকারের অধীনে আধিকারিক ছিলেন। এছাড়াও কাঠের হস্তশিল্পের একটি ফ্রেম এবং মীনাকারি দাবার সেট প্রথম সাক্ষাতে কমলার হাতে তুলে দেন মোদী, এমনটাই ভারত সরকার সূত্রে খবর। গোলাপী রঙের মীনাকারি দাবার সেট দেওয়ার পিছনেও একটা কারণ রয়েছে। গোলাপী মীনাকারি মোদীর নির্বাচনী ক্ষেত্র বারাণসীর প্রসিদ্ধ হস্তশিল্প। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন জনপদ হল বারাণসী। দাবার সেটের প্রত্যেকটি ঘুঁটির কারুকার্য দেখার মতো। সেটের উজ্জ্বল রং বারাণসীর বৈচিত্রকে তুলে ধরে। এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের জন্য রুপোর গোলাপী মীনাকারি জাহাজ, এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিদে সুগার জন্য চন্দন কাঠের বুদ্ধমূর্তি উপহার নিয়ে গেছেন মোদী। অন্যদিকে, পাকিস্তান সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর! প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিস। নিজে থেকেই সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে ইসলামাবাদকে কাঠগড়ায় তুলেছেন হ্যারিস। পাশাপাশি ভারতের পড়শি রাষ্ট্রকে সন্ত্রাসবাদ দমনে ব্যবস্থা নিতেও আর্জি জানান হ্যারিস। পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা ইন্দো-মার্কিন নিরাপত্তায় যাতে বিঘ্ন না ঘটায়। সেটা নিশ্চিত করতে ইমরান খান সরকারকে বার্তা পাঠান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট।