পুরুলিয়ার জনসভায় থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তাঁর কথায়, রাঙামাটিতে পা রেখে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন। এই মাটি রাম-সীতার ভূমি। অযোধ্যা পাহাড় সীতাকুণ্ড রয়েছে। কিন্তু এখানকার সরকার পুরুলিয়াকে জলসঙ্কট দিয়েছে। আট বছর হয়ে গিয়েছে এখনও জল সঙ্কট মেটেনি, কোনও প্রকল্প কার্যকর হয়নি। বাম তৃণমূল একই কাজ করে গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদি এও বলেন, “১০ বছর ধরে অনেক খেলা খেলেছেন, এ বার সেই খেলা শেষ হবে আর বিকাশ শুরু হবে ৷”দিদির চোট লাগলে আমারও চিন্তা হয়। ভগবানকে প্রার্থনা করি, আপনি দ্রুত সুস্থ হোন। এ দিন তাঁর স্লোগান, “চুরির খেলা চলবে না”৷ বাংলার মানুষদের থেকে দিদির খেলার চিন্তাই বেশি বলে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তাঁর কথায়, “বাংলার জনতাই এ বার আপনার বিরোধিতার জন্য দাঁড়িয়ে ৷ তাঁরাই আপনাকে শাস্তি দেবে ৷ চুরির খেলা আর চলবে না ৷ দিদিও এখন হারের জন্য ভয় পাচ্ছে ৷ দিদি আপনি এ সব করুন ৷ সবরকমভাবে খেলুন ৷ আমরা বিকাশ করি ৷” তিনি এও বলেন, তৃণমূলের সরকার দলিত, পিছিয়ে পড়া ও আদিবাসীদের জন্য কোনও কাজ করেনি বলে তোপ দাগেন মোদি ৷ তাঁর দাবি, বিজেপির সরকার এ রাজ্যে পিছিয়ে পড়া মানুষদের সমস্যার উপর সবচেয়ে বেশি জোর দেবে ৷ এ দিন প্রধানমন্ত্রীর কথায় অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস ধরা পড়ে ৷ তাঁর ভাষণে একবারও শোনা যায়নি যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এটা করবে ৷ তাঁর প্রতিটা কথায় মনে হয়েছে যেন বিজেপি নিশ্চিত, তারাই ২ মে-র পর ক্ষমতায় আসছে ৷ ডবল ইঞ্জিনের সরকার রাজ্যে আইনের শাসন গড়ে তুলবে বলে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী ৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজের হিসেব দিতে হবে দিদিকে। বিজেপি সরকার আসলে এই সব কাজ করবে। মানুষের সেবা করাই বিজেপি সরকারের কাজ। বাংলাতেও জল সঙ্কট মেটানোর কাজ আমরা করব। পুরুলিয়ায় বিকাশের অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। পর্যটন ক্ষেত্রও বড় জায়গা এখানের। কিন্তু এখানে সেই কাজ করা হয়নি। রেল ও রাস্তার যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে ঠিক হয় সেই চেষ্টা আমরা করব। বাংলার জন্য রেল বাজেটে কয়েক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ২ মে র পর ক্ষমতায় এসে রেলের সব কাজ হবে। যাতে পরাজিত লোকেরা পালিয়ে যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, এত বছরে একটা সেতুও তৈরি হয়নি। অনগ্রসর, আদিবাসী, পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য মমতা দিদির নির্মম সরকার জঙ্গলমহলের মানুষের থেকে পয়সা লুট করছে। কয়লা মাফিয়া, বালি মাফিয়া কারা তা বাংলা জানে। দিদির সরকার মাওবাদীদের প্রশয় দেন সরকারে টিকা থাকার জন্য।আর সেই জের পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। তাঁর দাবি, “বিজেপি ক্ষমতায় এসে সব তোলাবাজ, মাফিয়া, অপরাধীদের জেলে পাঠাবে ৷ এ বার তৃণমূলের পরাজয় নিশ্চিত ৷ এ বার বাংলায় সিন্ডিকেট, কাটমানি, তোলাবাজদের পরাজয় হবেই ৷”