প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে কোভ্যাক্সিনের দু’টি ডোজ নিয়ে আমেরিকা গিয়েছেন ৷ অথচ ভারতের কোনও নাগরিক এই ভ্যাকসিন নিয়ে বাইরে যেতে পারছেন না, এমনকি ভারতে নির্মিত কোভিশিল্ডের দু’টি ডোজ নিলেও অন্য কোনও দেশে যেতে সমস্যায় পড়ছেন নাগরিকরা ৷ বিতর্ক তৈরি হয়েছে ভারতের কোভিড-19 ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট নিয়ে ৷ আমেরিকা সফরে কোয়াড বৈঠকে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ একথা জানিয়েছেন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ৷ শুক্রবার 4টি দেশের নেতাদের উপস্থিতিতে কোভিড ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট-সহ আন্তর্জাতিক সফরকে অনুমোদন জানানোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন তিনি ৷ আর তা খুব ভাল ভাবেই গ্রহণ করেছেন কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত দেশের নেতারা, জানিয়েছেন শ্রিংলা ৷ 3 দিনের সফরে আমেরিকা গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ ২৩ তারিখ তিনি আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করেন ৷ আমেরিকার বেশ কিছু কোম্পানির সিইওদের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর৷ গতকাল প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি নিয়ে একান্তে বৈঠক সারেন দুই নেতা ৷ এরপর কোয়াড নেতাদের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী ৷ সেখানে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ছাড়াও ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন আর জাপানের ইয়োশিহিদে সুগা ৷ বৈঠকে প্রাধান্য পেয়েছে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে উন্মুক্ত করার প্রসঙ্গ, কোভিড মোকাবিলা, জলবায়ু পরিবর্তন ৷ ভারত-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়া-জাপান মিলে তৈরি কোয়াড গোষ্ঠীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য ছিল কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই ৷ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, আমেরিকার প্রযুক্তিতে ভারতে কোভিড ভ্যাকসিন উৎপাদিত হবে ৷ আর তাতে আর্থিক সাহায্য করে জাপান, অস্ট্রেলিয়া সারা বিশ্বে তা সরবরাহ করার বন্দোবস্ত করবে ৷ এবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ভারতে তৈরি ভ্যাকসিন ছড়িয়ে পড়বে দুনিয়ায়৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের কোয়াডের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত পদক্ষেপ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলিকে সাহায্য করবে ৷ আমাদের মধ্যের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব ৷ বিশ্ব নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড নিয়ে সহযোগিতার মতো যে কোনও বিষয় নিয়ে আমি আমার বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারলে খুশি হব ৷” আজ মোদি রাষ্ট্রসংঘে ভাষণ দেবেন ৷