করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতা নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এবার তিনি আক্রমণকে আরো তীক্ষ্ণ করে টুইট করে বলেছেন, ‘অক্সিজেন, টিকা, ওষুধের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদিও উধাও। পড়ে আছে তাঁর সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প, ওষুধের উপর জিএসটি এবং এদিকে ওদিকে প্রধানমন্ত্রীর কিছু ছবি।’ করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত ব্যবধানে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতেন। এবার তা করছেন না। সেটা নিয়েই কটাক্ষ করেছেন রাহুল। সেই সঙ্গে অক্সিজেন ও ভেন্টিলেটারের অভাবের কথাও তুলেছেন। রাহুল গান্ধী টুইটে যে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের কথা বলেছেন, সেটা হলো, দিল্লিতে নতুন সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় মিলিয়ে নতুন এক প্রকল্প। ২০২২ সালে যার কাজ শেষ করতে বদ্ধপরিকর মোদি। করোনাকালেও যার কাজ বন্ধ করা হয়নি। বিপুল টাকা খরচ করে এই কাজ কেন করা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। ভারতের ১২টি বিরোধী দলের নেতারা নরেন্দ্র মোদিকে একটা চিঠি দিয়েছেন। সেখানে দবি করা হয়েছে, সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প এখন বন্ধ রাখতে হবে। তার জায়গায় সরকার অক্সিজেন ও ভেন্টিলেটারের ব্যবস্থা করুক। সরকার মানুষকে বিনা পয়সায় টিকা দিক। বেকারদের মাসে ছয় হাজার টাকা ভাতা দিক। গরিবদের বিনা পয়সায় খাদ্যশষ্য দিক। মায়াবতীর বিএসপি ও কেজরিওয়ালের আপ ছাড়া সব গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দলের নেতা এই চিঠিতে সই করেছেন। ভারতের বিরোধী দলগুলো মনে করছে, করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় মোদি সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। তারা ঠিক সময়ে উচিত ব্যবস্থা নেয়নি। ভোটে জেতার জন্য দেশকে সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে তারা এখন সবকিছু রাজ্য সরকারের ঘাড়ে ঠেলে দিয়েছে। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও মনে করে, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাবেশ থেকেই ভারতে করোনা দ্রুত ছড়িয়েছে। অনেকগুলো ধর্মীয় ও রাজনৈতিক জমায়েত হয়েছে। যার ফলে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এই সমাবেশ ও জমায়েতের ফলে সামাজিক মেলামেশা অনেকটাই বেড়েছে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি।