কলকাতা

‘ঘুষ’ দিতে না চাওয়ায় আটকানো হল উস্তাদ রাশিদ খানের গাড়ি, প্রগতি ময়দান থানায় শিল্পীর স্ত্রী এবং মেয়ে হেনস্তার শিকার

 উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী ওস্তাদ রাশিদ খানের স্ত্রীর কাছে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রগতি ময়দান থানায় শিল্পীর স্ত্রী এবং ছোট মেয়েকে হেনস্তার শিকার হতে হয় বলেও অভিযোগ। শিল্পীর স্ত্রী জয়িতা বসু খানের অভিযোগ, তাঁদের গাড়ি আটকে টাকা চায় বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ। কেন টাকা চাওয়া হচ্ছে, প্রশ্ন করা হলে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ। আর তা দিতে অস্বীকার করলে গাড়ির চালককে আটক করে প্রগতি ময়দান থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলেই জানা গিয়েছে পরিবার সূত্রে।  চালককেও হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয়, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর মামলা দেওয়া হবে তাঁর বিরুদ্ধে। পরে ভোররাতে রাশিদ খান নিজে থানায় গিয়ে গাড়ি ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। তাঁর সঙ্গেও পুলিশ খারাপ ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। জয়িতা জানান, মঙ্গলবার রাতে রাশিদের একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেটি শেষ হওয়ার পর সহশিল্পীদের ছাড়ার ব্যাপার ছিল। এক শিল্পীর দিল্লির বিমান ধরার তাড়া ছিল। বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ড তাঁদের গাড়ি আটকায়। ছয় হাজার টাকা চাওয়া হয় বলে দাবি শিল্পীর স্ত্রীর। তিনি জানান, তাঁদের গাড়ি আটকে প্রগতি ময়দান থানায় নিয়ে আসা হয়। তাঁরা বারবার জানতে চান, কেন গাড়ি আটকানো হল। তাঁদের সকলের সঙ্গেই পুলিশ খারাপ ব্যবহার করে। তাঁর অভিযোগ, অত্যন্ত অশালীন ভাষায় তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন থানার কর্মীরা।  ক্ষুব্ধ রাশিদ খানের স্ত্রী জয়িতা বলেন, সাধারণত পুলিশের কাছে মানুষ যায় অভিযোগ জানাতে। এখানে তো পুলিশই খারাপ ব্যবহার করেছে। তখন আর কার কাছে আমরা অভিযোগ জানাব। রাতভর এ সব চলার পর ভোরে রাশিদ নিজে আসেন থানায়। তিনিও দুর্ব্যবহারের শিকার হন। পুলিশের দাবি, অতিরিক্ত মদ্যপান করে গাড়ি চালাচ্ছিলেন রাশিদের চালক রঞ্জিত ওঝা। রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে সবটা জানানো হয়েছে। কয়েক জন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিককেও তারা ঘটনাটি জানিয়েছেন। এই নিয়ে অবশ্য পুলিশের তরফে আর কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।