জেলা

ভাটপাড়ার তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবের খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার ২

ভাটপাড়ার তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবের খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অবশেষে দু’জনকে গ্রেফতার করল বারাকপুর পুলিস কমিশনারেট। তদন্ত পর্বে এই খুনের সঙ্গে ‘প্রভাবশালী’ সংস্রব পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে তদন্তের স্বার্থে সে বিষয়ে মুখে কুলুপও এঁটেছেন তাঁরা। ধৃত দুই স্থানীয় বাসিন্দা অঙ্কিত সিং এবং রইস আলি ভিকি খুনের বরাত পাওয়া সুপারি কিলারদের ‘লজিস্টিক সাপোর্ট’ দিয়েছিল। ভিন রাজ্যের শ্যুটারদের এলাকায় আশ্রয় দেওয়া এবং টার্গেট চিনিয়ে দেওয়ার কাজ করেছিল। এদিকে এদিন বিকেলে জগদ্দলেই হরেরাম সাউ (২২) নামে এক যুবকের রহস্য মৃত্যুকে ঘিরে রাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। স্থানীয় সূত্রের দাবি, হরেরাম ভিকি যাদবের সঙ্গেই থাকত। পুলিস ভিকি খুনের ঘটনায় তাঁকেও জেরা করে। এরপরেই এদিন যুবককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুলিসের দাবি, অঙ্কিত কুমার সিং ওরফে রিংকুর সঙ্গে ঘটনার দিন এই হরে রামের বহুবার মোবাইলে কথা হয়। সে কারণেই তাকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়। তারপর আজকে সে গলায় দড়ি দিয়েছে। একটা সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। যদিও সেটা কার লেখা, তা নিয়ে সন্দিহান পুলিস। তাই হাতের লেখা বিশারদকে দিয়ে তা পরীক্ষা করানো হবে।পুলিস কমিশনার অলক রাজোরিয়া শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, মোট চারজন ভাড়াটে খুনিকে ভিকি যাদব মার্ডার অপারেশনে নিযুক্ত করা হয়েছিল। খুনের সময় তাদের মধ্যে তিনজন উপস্থিত ছিল। অঙ্কিত সিং এই খুনিদের থাকার ব্যবস্থা করেছিল স্থানীয় মেঘনা জুটমিলের কোয়ার্টারে। ভিকির বাড়ির যাওয়া-আসার রাস্তা চিনিয়েছিল রইস আলি। পুলিস কমিশনার বলেন, ভাড়াটে খুনিদের এখনও পাকড়াও করা যায়নি। তবে শীঘ্রই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। ময়নাতদন্তকারী ডাক্তারের হিসেবে, ভিকির শরীরে ন’টি গুলি লেগেছে। খুনিরা মোট ১২ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। তিনটে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। আজ ধৃতদের আদালতে তোলা হবে।