ভাতারে ভালোবাসার টোপ দিয়ে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে আরেক অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করল পুলিশ৷ ধৃতের নাম শেখ মহম্মদ আমির ওরফে ফজল ৷ তার বাড়ি ভাতারের বলগোনা গ্রামে ৷ শনিবার তাকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয় ৷ এই ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত সাহিরুদ্দিন চৌধুরীকে ইতিমধ্য়েই গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ শনিবার তার তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর সঙ্গে ফোনে পরিচয় হয় পেশায় টোটোচালক সাহের উদ্দিন চৌধুরীর। ওই নাবালিকার দাদার বন্ধু সাহের উদ্দিন । ফোনেই প্রেম জমে ওঠে। একবার দেখাও করে দু’জন। মেয়েটি ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি, ভালোবাসার মানুষটিই হয়ে উঠতে পারে ধর্ষক। বৃহস্পতিবার সন্ধে নাগাদ সাহের উদ্দিন ফোন করে ওই নাবালিকাকে ডেকে পাঠায় । পেশায় টোটোচালক সাহের উদ্দিন তাকে টোটোয় চাপিয়ে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় ওই নাবালিকা । এরপর টোটোয় চাপিয়ে ওই নাবালিকাকে আমারুন বাজারের কাছে ক্যানেল পাড় এলাকার মাঠে নিয়ে যায় । সেখানে ফজল নামে অপর অভিযুক্ত যুবকও ছিল । ওই দুই যুবক মিলে ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ । ঘটনার পর পালিয়ে যায় তারা । ওইদিন রাতে কোনওরকমে ভাতার বাজার এলাকায় ওই নাবালিকা ফিরে আসে । স্থানীয় এক ব্যক্তিকে ঘটনার কথা জানায় । পরে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয় । এর পরেই তদন্তে নেমে পুলিশ এক এক করে ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ৷