কয়েকদিন আগেই গলার শিরা ফুলিয়ে মণিপুরের ‘দলবদলু’ মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং দাবি করেছিলেন, ‘পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। শান্ত রাজ্য।’ কিন্তু তার ওই দাবি যে কতটা অসাড় ফের সেই প্রমাণ মিলল। গত ২৪ ঘন্টায় বিষ্ণুপুর ও চূড়াচন্দ্রপুরের সীমান্তবর্তী এলাকায় নতুন করে সংঘর্ষের বলি হলেন চার জন। তার মধ্যে এক পুলিশ কর্মী ও এক কিশোর রয়েছে। গুলির লড়াইয়ে আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় বিশেষ পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। শনিবার সকালে রাজ্য পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষ্ণুপুর ও চূড়াচন্দ্রপুরের সীমান্ত লাগোয়া খাংভাইয়ে প্রথমে যুযুধান দুই গোষ্ঠির মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নিরাপত্তা রক্ষীরা। এর পরেই অতর্কিতে পুলিশের ওপরে গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তা রক্ষীরাও। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক পুলিশ কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। আর এদিন সকালে ফের জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছেন আরও তিনজন। তার মধ্যে এক কিশোর রয়েছে। বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেয় জঙ্গিরা। গত ৩ মে থেকে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্যটিতে কুকি ও মেইতেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বিষ্ণুপুর ও চূড়াচন্দ্রপুরে। ওই এলাকায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের বলি হয়েছেন বহু মানুষ। তার মধ্যে খাংভাইয়ের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। পাহাড়ের আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে পরস্পরের ওপরে হামলা চালাচ্ছে দুই গোষ্ঠীর দুষ্কৃতীরা। শান্তি ফেরানোর জন্য মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ওই এলাকাকে বাফার জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনায় চার জনের প্রাণ যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয বাসিন্দারা।