বিবেকানন্দের ১৫৮ তম জন্মতিথিতে ন্যাশনাল ইয়ুথ পার্লামেন্ট জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দেন তিনি। এখানে তিনি ফের নাম না করে কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বললেন, রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শত্রু। আর একে উৎখাত করতে হবে। তিনি বলেছেন, “রাজনৈতিক পরিবারতন্ত্রের কাছে দেশ কখনওই সবার আগে হয় না। এদের কাছে সবার আগে নিজে এবং নিজের পরিবার।” এদিন জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে দ্বিতীয় যুব সংসদের সমাপন ভাষণে মোদী আরও বলেন, মানুষ এখন সততা এবং পারদর্শিতা দেখে, কিন্তু পরিবারতন্ত্রের রোগ এখনও রাজনীতি থেকে বিদায় নেয়নি।”।এর আগেও বহুবার কংগ্রেসকে নাম করে, নাম না করে পরিবারতন্ত্র নিয়ে আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, “রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র এখনও রয়েছে। যা একেবারে প্রযোজ্য নয়। কী পাবেন তা না ভেবে, কী কাজ করবেন সেই লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতিতে আসুক নতুন প্রজন্ম। তা না হলে লোকতন্ত্র দুর্বল হয়ে যাবে। রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে যুবদের”। পাশাপাশি বিবেকানন্দের জন্মতিথিকে মাধ্যম করে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ব্যক্তি নির্মাণে জোর দেয় নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি”। তিনি বলেন, “প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যক্তি গড়েছেন স্বামীজি। প্রজন্মের পর প্রজন্মকে প্রেরণা জাগিয়ে আসছেন স্বামীজি”। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাস রাখেন তা খুবই স্পষ্ট। এদিন তিনি বলেন, ” স্বামীজি নাস্তিক সে, যে নিজের প্রতি ভরসা রাখে না”। তিনি আরও বলেন, “উন্নত প্রতিষ্ঠান দেশের উন্নত চিন্তাধারার জন্ম দেয়। স্বামীজির দর্শন দেশকে প্রেরণা জোগায়। আমরা আধার ভারতকে আগে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুযোগ পাচ্ছি। সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। আত্মনির্ভর ভারত গড়তে হবে”।