আইএসএলের অভিষেক ম্যাচে পয়েন্ট খোয়াল ইস্টবেঙ্গল। শনিবার যুবভারতীতে জামশেদপুরের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র লাল হলুদের। চার বছরে জয় দিয়ে শুরু করতে পারল না কলকাতার প্রধান। তবে এদিন জেতার সুযোগ ছিল। সিভেরিও একাধিক সুযোগ নষ্ট না করলে ম্যাচের রেজাল্ট অন্যরকম হতে পারত। ষাট হাজারের যুবভারতীতে এদিন দর্শক সংখ্যা মাত্র ১১,১৪৩। রাতের ম্যাচ দেখতে আসেনি লাল হলুদ সমর্থকরা। তার জন্য অবশ্য কোনও আক্ষেপ করতে হবে না। মাঝারি মানের ফুটবল দুই দলেরই। তবে ঘরের মাঠে দু’পয়েন্ট হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপ করতে হবে কুয়াদ্রাতকে। প্রথমার্ধে অন্তত দু’গোলে এগিয়ে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু বলে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ সিভেরিও। ম্যাচের ৩ মিনিটে প্রথম সুযোগ ইস্টবেঙ্গলের। বাইরে হেড করেন লাল হলুদের স্ট্রাইকার। সামনে একা সিভেরিওকে রেখে শুরু করেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। কিন্তু অফ কালার ইস্টবেঙ্গলের ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটা হাফ চান্স পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। ম্যাচের ৮ মিনিটে সিভেরিওকে লক্ষ্য করে ক্রস তোলেন ক্রেসপো। কিন্তু স্প্যানিশ স্ট্রাইকার বল পাওয়ার আগেই ক্লিয়ার করে দেন এলসন। এদিন যথেষ্ট ভাল ফুটবল খেলেন বিপক্ষের ব্রাজিলীয় মিডফিল্ডার। তবে কোনও দলই নজরকাড়া ফুটবল খেলেনি। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে আবার সুযোগ নষ্ট ইস্টবেঙ্গলের। বক্সে বল তোলেন বোরহা। ফের পা ছোঁয়াতে পারেনি সিভেরিও। তার চার মিনিটের মধ্যে জোড়া সুযোগ নষ্ট। বোরহা এবং মহেশের শট বাঁচান জামশেদপুর গোলকিপার রেহনেশ। প্রথমার্ধে জামশেদপুরের মাত্র একটি সুযোগ। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়লেও অতিরিক্ত ড্রিবল করতে গিয়ে বল ক্লিয়ার করে দেয় ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডাররা। বিরতির পরপরই পেনাল্টির দাবি জানায় ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে পার্দোর ফ্রিকিক বক্সের মধ্যে প্রতীকের হাতে লাগলেও পেনাল্টি দেয়নি রেফারি জামাল মহম্মদ। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে বোরহার জায়গায় ক্লেইটন সিলভাকে নামিয়ে ডবল স্ট্রাইকারে চলে যান লাল হলুদ কোচ।