শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁকে এবার সাসপেন্ড করল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তৃণমূল ভবনে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি বৈঠকে বসেছিল। সেই বৈঠক থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সমস্ত মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণ করা হয়। এরপর তাঁকে দলের সমস্ত পদ থেকে অপসারণ করা হবে বলে জল্পনা তৈরি হয়। সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এদিন বিকেলে তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হল। এক সময়ের দাপুটে তৃণমূল নেতাকে দল থেকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান, দলের মহাসচিব, দলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদক-সহ দলের সব পদ থেকে অপসারণ করা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। দলের জাতীয় সহ-সম্পাদক এবং জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যপদ থেকেও তাঁকেও অপসারণ করা হয়। এদিন শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন সুব্রত বক্সি, কুণাল ঘোষ, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যদি কেউ অন্যায় করে থাকে, প্রমাণ হলে তৃণমূল তাঁর পাশে দাঁড়াবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে দলীয় প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করলে তৃণমূল কংগ্রেস তাঁর পাশে দাঁড়াবে না।’ তৃণমূল কংগ্রেস যে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না। এদিন তা আবার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁদের কঠোর শাস্তি হোক।’ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণ করার দাবিতে তৃণমূলের অন্দরে দাবি উঠতে শুরু করে। এরপর বৃহস্পতিবার প্রথমে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে এবং পরে দল থেকে সাসপেন্ড করা হল।