এই মুহূর্তে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিন দিনের সফরে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন, তখনই পাল্টা চমক দিল বিজেপি । অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর আদমপুরের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ দেশের পশ্চিম সীমান্ত থেকে দাঁড়িয়ে জবাব দিয়েছিলেন প্রতিবেশী পাকিস্তানকে ৷ এবার তাঁর গন্তব্য পূর্ব ভারত৷ এক্ষেত্রে অবশ্য সেনা পরিবৃত হয়ে নয়, জনসাধারণের মাঝে দাঁড়িয়ে বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷ আগামী ২৯ মে সভা করবেন আলিপুরদুয়ারে ৷ যেখান থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের দূরত্ব বেশি নয় ৷ আবার খুব কাছাকাছিই রয়েছে দুই প্রতিবেশী চিন ও বাংলাদেশ ৷ ভারতের সমরাস্ত্রের শক্তি কতটা, তা অপারেশন সিঁদুরের সময় টের পেয়েছে পাকিস্তান ৷ তার উপর ভিত্তি করেই আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডের মঞ্চ থেকে চিন ও বাংলাদেশকে বার্তা দেওয়ার সুযোগ থাকছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৷ তাই আগামী ২৯ মে আলিপুরদুয়ারের জনসভা থেকে তিনি কী বার্তা দেন, সেই আলোচনা মোদির সফরের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আলোচনা শুরু হয়েছে ৷ তবে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে যে শুধু প্রতিবেশীদের বার্তা দেওয়া ছাড়াও মোদির এবারের সফরের রাজনৈতিক গুরুত্বও রয়েছে ৷ আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন ৷ সেই ভোটের বছরখানেক আগেই গেরুয়া শিবিরের শক্তঘাঁটি উত্তরবঙ্গ থেকে তৃণমূলকেও জবাব দেওয়ার এবং বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করার সুযোগও তিনি পাবেন ৷ এদিন দুপুরে আচমকাই আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে হাজির হন একঝাঁক বিজেপি নেতা। ছিলেন সাংসদ মনোজ টিজ্ঞা, ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ, কালচিনির বিধায়ক বিশাল লামা প্রমুখ। তাঁদের মাঠ পরিদর্শন নিয়েই শুরু হয় নানা জল্পনা। পরে সাংসদ মনোজ টিজ্ঞা নিজেই জানান, “অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর সেনাবাহিনীকে সম্মান জানাতে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা তুলে ধরতেই প্রধানমন্ত্রীর এই সফর। সেই উপলক্ষেই মাঠ দেখে গেলাম।”
