হাথরাসের পথে কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকে আটকাতে আগেভাগে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানায় শনিবার পুলিশ মোতায়েন করে রেখেছিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। দিল্লি-নয়ডা উড়ালপুলে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাদের কনভয় আটকানো হয়। গাড়ি থেকে নেমে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। সেই সময় প্রিয়াঙ্কার গায়ে হাত দিয়ে কুর্তা টেনে ধরেন এক পুরুষ পুলিশকর্মী। মুহূর্তের মধ্যে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে কংগ্রেস, শিবসেনা-সহ একাধিক দল। শনিবার হাথরসে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ কংগ্রেস সাংসদরা। তার আগে দিল্লি-নয়ডা উড়ালপুলে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাদের কনভয় আটকানো হয়। গাড়ি থেকে নেমে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রাহুল, প্রিয়াঙ্কা-সহ অন্য কংগ্রেস সাংসদরা। তখনই এক পুরুষ পুলিশকর্মী এসে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর গায়ে হাত দেন। ওই পুলিশকর্মী প্রিয়াঙ্কার কুর্তা টেনে ধরেন। একাধিক সংবাদমাধ্যমে সেই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। যোগী আদিত্যনাথের সরকারের পুলিশের সমালোচনায় সরব হন একাধিক রাজনৈতিক নেতা। টুইটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে হেনস্থার ছবি পোস্ট করে যোগী সরকারের উদ্দেশ্যে শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের প্রশ্ন, ”যোগী আদিত্যনাথের সরকারের হাতে কি মহিলা পুলিশকর্মী নেই?” কংগ্রেসের তরফেও ঘটনার কড়া নিন্দা করা হয়েছে। দলের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ”পুরুষ পুলিশকর্মীদের দিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর গায়ে হাত তোলালেন। এর চেয়ে লজ্জাজনক ও দুঃখজনক ঘটনা আর কিছু হতে পারে না। আদিত্যনাথের ডুবে মরা উচিত। কুকর্মের জন্য ইস্তফা দেওয়া উচিত যোগী আদিত্যনাথের।”