মোদি সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত কৃষকদের তিনদিন একটানা লড়াইয়ের পর দিল্লি প্রবেশের অনুমতি মিলেছে। বিক্ষোভরত কৃষকদের চড়া মেজাজের সামনে কোনোরকম বাধাই তাদের নত করতে পারেনি। কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে দিল্লি অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন কৃষকরা। সেইমতো দিল্লি পৌঁছলেন তাঁরা। গত বৃহস্পতিবার হরিয়ানা পুলিশ বারবার দিল্লির উদ্দেশ্যে কৃষকদের এই যাত্রা ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছে। একাধিকবার পুলিশ ও বিক্ষোভকারী কৃষকদের খণ্ডযুদ্ধ হলেও থামানো যায়নি আন্দোলনকারীদের। শেষপর্যন্ত একপ্রকার মরিয়া হয়েই বৃহস্পতিবার রাতে প্রবল ঠান্ডার মধ্যেই হরিয়ানার সেনাপত অঞ্চলে কৃষকদের ওপর জলকামান চালায় পুলিশ। তবু বাধা দেওয়া যায়নি। শুক্রবার সকালেও দিল্লির সীমান্ত অঞ্চলে ফের বিক্ষোভকারী কৃষকদের ওপর জলকামান চালায় পুলিশ। অবশ্য শেষ পর্যন্ত সরে এসেছে পুলিশ। যদিও এই অনুমতি দেবার পরেও প্রশাসনিক তরফে তাদের ওপর টিয়ার গ্যাস সেল ছোঁড়া হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন কৃষক নেতারা। অল ইন্ডিয়া কিষাণ সংঘর্ষ কো অরডিনেশন কমিটির পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়েছে।জানা গেছে কৃষকদের উত্তর পশ্চিম দিল্লির বুরারির নিরঙ্কারি গ্রাউন্ডে এলাকায় জমায়েত করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও কৃষকরা এখনও পর্যন্ত রামলীলা ময়দান অথবা যন্তর মন্তর যাবার দাবীতে অটল রয়েছেন। দিল্লি প্রবেশের পাঁচটি সীমানা দিয়ে কৃষকরা বিভিন্ন রাজ্য থেকে দিল্লিতে প্রবেশের চেষ্টা করছেন। এদিনই সকালে রোহতকে এক পথ দুর্ঘটনায় বিক্ষোভরত এক কৃষকের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। নিহত কৃষকের জন্য হরিয়ানা সরকারের কাছে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবী করা হয়েছে। এদিন এক ট্যুইট বার্তায় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী জানান – প্রধানমন্ত্রীর মনে রাখা উচিৎ যখন যখন অহংকার সত্যের সঙ্গে সংঘর্ষে যায় তখন তাকে পরাজিত হতে হয়। সত্যের লড়াই লড়ছেন কৃষকরা। কোনো বাধাই তাঁদের আটকাতে পারবেনা। এর আগে কৃষকদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিন দাবী পেশ করা হয়েছিলো। যার মধ্যে দিল্লি প্রবেশের অনুমতি সহ দুটি দাবী ইতিমধ্যেই মেনে নেওয়া হয়েছে।