খেলা

GT vs PBKS: কেকেআরে ব্রাত্য, পঞ্জাবের হয়ে প্রথম ম্যাচেই ৯৭ রানের ঝড় তুলে জয় ছিনিয়ে নিলেন অধিনায়ক শ্রেয়স

জয়ের ধারা বজায় রাখলেন শ্রেয়স আইয়ার। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে গত বছর তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। টানা জিতে তিনি জিতেছিলেন। এবার তাঁকে ছেড়ে দেয় কেকেআর। আর তিনি এ বার পঞ্জাব কিংসে যোগ দিয়ে সাফল্য পেলেন। প্রথম ম্যাচে শুধু বড় রান করাই নয়, দলকে জেতালেন তিনি। তাঁর ৯৭ রানের ইনিংস না হলে জিততে পারত না পঞ্জাব। ম্যাচটা পঞ্জাব জেতে ১১ রানে। টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত টাইটান্স। দ্বিতীয় ইনিংসে শিশির থেকে যাতে সমস্যা না হয়, সেই কারণেই তাদের এই সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু পাঞ্জাবের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সামনে তাদের এই পরিকল্পনা কার্যকর হয়নি। ব্যাট করতে নেমে পঞ্জাব কিংস মুখ থুবড়ে পড়ে। ৩ ওভারে তারা প্রথম উইকেট হারায়, প্রভসিমরন সিং মাত্র ৫ রান করেন। তরুণ প্রিয়াংশ আর্য ৪৭ রানের ইনিংস খেলে নজর কাড়েন। এর পর নামেন শ্রেয়স আইয়ার। নেমে তিনি চেনা ছন্দে ব্যাটিং শুরু করেন। ওডিআই ক্রিকেটে তিনি টিম ইন্ডিয়ার নিয়মিত। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেটার জন্য তাঁকে তৈরি হতে গেলে আইপিএলে ভালো পারফর্ম করতে হবে, তিনি সেটাই করেছেন। তবে শ্রেয়স ভালো শুরু করলেও অন্যদিকে সাপোর্ট পাচ্ছিলেন না। আজ়মাতুল্লাহ ওমরজ়াই করেন ১৬, ফের গোল্ডেন ডাক হয়ে ফেরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। সাই কিশোর দুই প্লেয়ারকে পরপর ফেরানোর পর কিছুটা চাপ পড়ে পাঞ্জাবের উপর। একটা সময় ১০৫ রানে ৪ উইকেট হয়। সেখান থেকে ১৬২ রানে দলকে নিয়ে যায় শ্রেয়স আইয়ার ও মার্কোস স্টোইনিস জুটি। ১৬২ থেকে ২৪৩ রানে শেষ করে শশাঙ্ক সিং ও শ্রেয়স আইয়ার জুটি। শশাঙ্ক ৪৪ ও শ্রেয়স ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন। একটা সময়ে মনে হচ্ছিল শ্রেয়স সেঞ্চুরি করবেন, কিন্তু তিনি তা না করে শশাঙ্ককে রান করতে দেন।রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু থেকে এ বার গুজরাত টাইটান্সে যোগ দেন মহম্মদ সিরাজ। তিনি এ বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও সুযোগ পাননি, সেই সিরাজ হতাশ করেছেন। বল হাতে ৫৪ রান দিয়ে একটিও উইকেট পাননি। রশিদ খান দিয়েছেন ৪৮ রান। রাবাডা দিয়েছেন ৪১। একমাত্র সাই কিশোর সফল বোলার। ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। রান তাড়া করতে নেমে সাই কিশোর ভালো শুরু করেন। তিনি ৭৪ রান করেন ওপেন করতে নেমে। শুবমান গিল চালিয়ে খেলা শুরু করেন। ১৪ বলে গিল ৩৩ রান করে আউট হন। মিস হিট করেন তিনি। ওপেনিং জুটি করে ৬১ রান। বাটলার করেন ৩৩ বলে ৫৪ রান। এই সময় রানের গতি দেখে মনে হয়েছিল গুজরাত হয়তো রান তাড়া করে জিতে ইতিহাস তৈরি করবে, শেরফান রাদারফোর্ড আউট হওয়ার পর আর সেটা শেষ পর্যন্ত হয়নি। তিনি ৪৬ রানে আউট হন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ২৩২ রানে আটকে যায় গুজরাত।