কলকাতা

বাইশে শ্রাবণ উপলক্ষ্যে নবান্নে কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন

করোনা ভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে প্রয়াণদিবসে এবারও কবিগুরুকে ভিন্ন আঙ্গিকে স্মরণ করা হবে। কবিগুরুর মহাপ্রয়াণ দিবসে থাকছে না বরাবরের মতো আয়োজন। কবিগুরুকে বছরের পর বছর তার প্রয়াণদিবসে বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন ভিন্ন আয়োজনে স্মরণ করলেও দুই বছর ধরে মহামারি পাল্টে দিয়েছে সবকিছু। সশরীরে বড় কোনো আয়োজন নেই। তবে আজ ভার্চুয়ালি নানা আয়োজনে কবিগুরুকে স্মরণ করা হয়। অন্যদিকে, বাইশে শ্রাবণ  উপলক্ষ্যে নবান্নে কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন মন্ত্রী অরূপ রায় । প্রয়াণ দিবসে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করলেন নেটিজেনেরাও।

কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারের দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সারদাসুন্দরী দেবীর চতুর্দশ সন্তান রবীন্দ্রনাথের জন্ম ১২৬৮ বঙ্গাব্দের পঁচিশে বৈশাখ। রবীন্দ্রনাথ কবি, উপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, ভাষাবিদ, চিত্রশিল্পী, গল্পকার- সবগুলো শৈল্পিক গুণের সমন্বিত এক বিস্ময়কর প্রতিভা। আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘কবিকাহিনী’ প্রকাশিত হয় ১৮৭৮ সালে। ১৯১০ সালে প্রকাশিত হয় তার ‘গীতাঞ্জলী’। এই কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৮৯১ সাল থেকে পিতার আদেশে কবি কুষ্টিয়ার শিলাইদহে, পাবনা, নাটোরে জমিদারী তদারকিতে ছিলেন। যা বাংলাদেশের এক আলোকোজ্জ্বল অধ্যায়। শিলাইদহে তিনি দীর্ঘদিন অতিবাহিত করেন। এখানে জমিদার বাড়িতে তিনি অসংখ্য কবিতা ও গান রচনা করেন। বাঙালির প্রতিটি আবেগ অনুভবে জড়িয়ে আছেন রবীন্দ্রনাথ। ১৯৩০-এর দশক থেকেই রবীন্দ্রনাথ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। জীবনের শেষ চার বছর তিনি বেশ অসুস্থ ছিলেন। ১৯৩৭ সালে তিনি একবার গুরুতর অসুস্থ হন। এর পর কিছুটা সুস্থ হলেও ১৯৪০ সালে তার অসুস্থতা বেড়ে যায়। তিনি শেষ জীবনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘনঘটা এবং মানবতার সংকট দেখে দুঃখিত হন। তবু তিনি মানবতার জয়ে আস্থা হারাননি। ১৯৪১ সালে শেষবারের মতো শান্তিনিকেতন থেকে জোড়াসাঁকোর প্রাসাদে চলে আসতে হয় অসুস্থ কবিকে। মৃত্যুর সাত দিন আগেও কবিতা লিখেছেন তিনি।