ঘর ওয়াপসি হয়েছে ‘বিদ্রোহী’ শচীন পাইলটের। বৃহস্পতিবার জয়পুরে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের আবাসনে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে কংগ্রেসের ভরা হাট। মুখ্যমন্ত্রীর আবাসনে একে অপরকে দেখে হেসেছেন গেহলট ও পাইলট। সৌজন্য বিনিময় করেছেন। করমর্দন করেছেন। সবটাই লেন্সবন্দি করেছে সংবাদমাধ্যম। বিপদ কেটে যাওয়ার মুহূর্তে স্বভাবতই রাজস্থান কংগ্রেসে খুশির হাওয়া। জয়পুরে রয়েছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপাল। তিনি জানিয়েছেন, ‘সব ঠিকঠাক আছে। দ্বন্দ্ব মিটে গেছে। কাল অধিবেশন শুরু হবে। দল একজোট হয়ে বিজেপি-র বিরুদ্ধে দাঁড়াবে।’ বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলছেন, ‘কংগ্রেসের ঘরোয়া অশান্তি ছিল। এতে বিজেপি-র হাত ছিল না। তাই আমাদের লাভ বা ক্ষতির প্রশ্ন নেই।’ শুধু শচীন পাইলট নন, বৈঠকে হাজির ছিলেন শিবিরের অন্য বিধায়করাও। কিন্তু, তা সত্ত্বেও বিধানসভায় গেহলট সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে বিজেপি। এতদিন তারা ‘অনাস্থা আনা হবে না’ বলে দাবি করে এলেও এদিন বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠকে কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এই খবর জানিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা গুলাবচন্দ কাটারিয়া। এদিকে, রাত পোহালেই শুক্রবার রাজস্থান বিধানসভায় অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। তার আগে বিজেপি-র অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত রাজস্থানের রাজনীতির নতুন চমক।