দেশ

কারনালে মিছিল থেকে আটক রাকেশ টিকায়েত, যোগেন্দ্র যাদব সহ বহু কৃষক নেতা

আজ বিকালে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে হরিয়ানার কারনালে জেলা প্রশাসনের অফিসের দিকে এগোয় কৃষক মিছিল। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এর ফলে পুলিশের সঙ্গে কৃষকদের সংঘর্ষ বেধে যেতে পারে। বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ স্বরাজ ইন্ডিয়ার প্রধান যোগেন্দ্র যাদব টুইট করে জানিয়েছেন, শহরের নমস্তে চৌক থেকে রাকেশ টিকায়েত ও আরও কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনিও গ্রেফতার হয়েছেন। পর যোগেন্দ্র যাদব ফের টুইট করে জানান, তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কৃষক মিছিলের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন যোগেন্দ্র যাদব। তাতে দেখা যায়, বিপুল সংখ্যক মানুষ ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। এর আগে পুলিশ ১১ জন কৃষক নেতার সঙ্গে বৈঠকে বসে। বিকাল পাঁচটা নাগাদ জানা যায়, আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। কৃষকদের মিছিল রওনা হয়েছে জেলা প্রশাসনের অফিসের দিকে। গত ২৮ অগাস্ট কারনালে কৃষকদের ওপরে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। লাঠির ঘায়ে আহত হয়ে সুশীল কাজলা নামে এক কৃষক মারা যান। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত মঙ্গলবার সকালে টুইট করে বলেন, সুশীল কাজলার মৃত্যুর বিচার চাইতে তাঁরা মহাপঞ্চায়েত বসাবেন ও বিক্ষোভ মিছিল করবেন। মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের নির্বাচন কেন্দ্র কারনালে গোলমালের আশঙ্কায় আগে থেকেই ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। সোমবার রাত ১২ টা থেকে কারনাল কুরুক্ষেত্র, কাইথাল, জিন্দ এবং পানিপথে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কারনাল শহরে রয়েছে ৪০ কোম্পানি নিরাপত্তারক্ষী। তাদের মধ্যে আছে ১০ কোম্পানি আধা সেনা। কারনালের ডেপুটি কমিশনার নিশান্ত কুমার যাদব শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। আন্দোলনরত কৃষকদের দাবি, ওই পুলিশকর্তাকে গ্রেফতার করতে হবে। এই দাবিতে এদিন তারা পথে নামেন। সরকারের সঙ্গে কৃষকদের এক প্রতিনিধিদল এদিন আলোচনায় বসে। আলোচনা হয়েছে তিন দফায়। কিন্তু কোনও আলোচনা থেকেই সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি। এরপরেই আন্দোলনরত কৃষকেরা মিনি সেক্রেটারিয়েটের দিকে এগোতে থাকে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু কৃষকদের জনস্রোতের কাছে বাহিনী কার্যত আত্মসমর্পণ করে। এই খবর যখন লেখা হচ্ছে, কৃষকের মিনি সেক্রেটারিয়েট পৌঁছে গিয়েছে। ঘেরাও করেছে সচিবালয়।