ফের অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরার নামে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রীর সাগরেদকে নিজেদের হেফাজতে নিল কাঁথি থানা। রাখালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পরিবহণ দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছিলেন। গত ৯ জুন কাঁথি থানায় লিখিতভাবে সে্ই অভিযোগ করেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের ইঞ্চির বাসিন্দা মিজানুর আলি। কাঁথি থানায় দায়ের করা অভিযোগে মিজানুর জানান, ‘শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী থাকাকালীন ওই দফতরে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরা ও চঞ্চল নন্দী। ২০২০ সালের অক্টোবরে কন্ডাক্টরের চাকরি দেওয়ার নাম করে তারা ১০ লক্ষ টাকা চান। ওই টাকার দেওয়ার জন্য স্ত্রী ও মায়ের গয়না বন্দক রেখে ও বাবার ব্যবসার টাকা নিয়ে মোট ৬ লাখ টাকা কাঁথি পুরসভার অফিসে চঞ্চল নন্দীর হাতে দিই। দুজনই জানান, অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পাওয়ার পর বাকী টাকা নেওয়া হবে। পুজোর সময় নিয়োগ হবে। কিন্তু নভেম্বর মাসে শুভেন্দু পরিবহণ দফতরের মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন। তৃণমূল ছাড়েন ডিসেম্বর মাসে। তখন শুভেন্দুর দুই সাগরেদকে অভিযোগকারী জিজ্ঞাসা করলে, তারা আশ্বাস দেন, ‘দাদা মুখ্যমন্ত্রী হলে আরও ভাল জায়গায় চাকরি হবে’। কিন্তু ভোটের রেজাল্ট বেরনোর পর তাদের কাছে গেলে বলা হয় ২৭ মে-এর মধ্যে সমস্ত টাকা দেওয়া হবে। তারপর আর দেখা মেলেনি তাদের। জানা গিয়েছে, রাখাল বেরার মতোই চঞ্চল নন্দীও নাকি ‘দাদা শুভেন্দু অধিকারীর’ ঘনিষ্ঠ। তাঁকে আপাতত হেফাজতে নেয়নি পুলিশ। এর আগেও সেচ দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরার নামে থানায় অভিযোগ জমা পড়ে, যার ভিত্তিতে গত ৫ জুন মানিকতলার থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। এদিন রাখাল বেরাকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন বিচারক।