দেশ

রাম মন্দিরের ছাদ বেয়ে গর্ভগৃহে ঢুকছে জল! দাবি খারিজ ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের

গত জানুয়ারি মাসেই অযোধ্যার রামমন্দিরের গর্ভগৃহে দাঁড়িয়ে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর কয়েক মাস যেতে না যেতেই অভিযোগ উঠেছে, রাম মন্দিরের ছাদ ছুঁয়ে নাকি জল পড়ছে। রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস নিজে এই অভিযোগ করেছিলেন। এরই মাঝে আবার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দাবি করা হয়েছিল, রামমন্দিরের গর্ভগৃহ ভরে যাচ্ছে বৃষ্টির জলে। এই আবহে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে, টর্চ জ্বেলে রামলালার আরতি করতে হচ্ছে। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি বঙ্গ নিউজ। তবে সেই ভিডিও ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। এই পরিস্থিতি এবার রামমন্দিরের গর্ভগৃহে জল পড়ার ঘটনা নিয়ে মুখ খুলল মন্দির ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ। ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই মন্দিরের ছাদ থেকে জল পড়ার মিডিয়া রিপোর্টগুলিকে খারিজ করে দিয়েছেন। এই দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, রামমন্দিরের গর্ভগৃহের ছাদ থেকে এক ফোঁটা জলও পড়েনি বা কোথাও থেকে গর্ভগৃহে জল প্রবেশ করেনি। এদিকে মন্দির নির্মাণ প্রসঙ্গে চম্পত রাই দাবি করেন, উত্তর ভারতে প্রথমবারের মতো, লোহা ব্যবহার না করে শুধুমাত্র পাথর (উত্তর ভারতীয় নগর শৈলীতে) ব্যবহার করে রাম মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। ভারত ও বিদেশে শুধুমাত্র স্বামী নারায়ণ ঐতিহ্যের মন্দিরই পুরোপুরি পাথরের তৈরি। এদিকে চম্পত রাই এই কথা বললেও গত ২৪ জুন, রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেছিলেন যে রাম মন্দিরে কথিত জল পড়ার ঘটনা ‘প্রত্যাশিত’; কারণ, গুরু মণ্ডপ আকাশের তলায়। সেদিন নৃপেন্দ্র মিশ্র সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বলেছিলেন, ‘আমি অযোধ্যায় আছি। দেখলাম দোতলা থেকে বৃষ্টির জল নামছে। এটা প্রত্যাশিত। কারণ, গুরু মণ্ডপটি আকাশের নীচে তৈরি করা হয়েছে। দ্বিতীয় তলা এবং শিখরের কাজ শেষ হলে এটা আর আকাশের নীচে থাকবে না।এদিকে দ্বিতীয় তলার কাজ এখন চলছে। সেখান থেকে কিছুটা জল গড়িয়ে পড়ছে। কাজ শেষ হলে এই সব জল পড়া বন্ধ করা যাবে।’