ক্রিস হেমসওয়র্থ, স্যাম হারগ্রেভ, ঢাকা, চোখধাঁধানো অ্যাকশন, দম বন্ধ করে দেওয়া সব স্টান্ট এবং নেটফ্লিক্স। সবমিলিয়ে এককথায় ‘এক্সট্র্যাকশন’! বিশ্বজোড়া দর্শকের এই ছবি ঘিরে উন্মাদনা কম ছিল না! অ্যাকশন ও স্টাইলাইজেশনের উপর ভর করে সুপারহিট হয়েছিল নেটফ্লিক্সের এই ছবি। এই সিরিজের দ্বিতীয় ছবি সেই সাফল্যেরই উদাহরণ। তবে ‘এক্সট্র্যাকশন’-এ ‘থর’-এর পাশাপাশি নজর করেছিলেন বলিউডের রণদীপ হুডা। এক্সট্র্যাকশন’-এ মার্ভেল হিরো ক্রিস হেমসওয়ার্থ-এর সঙ্গে টানটান অ্যাকশন সিকোয়েন্সে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন রণদীপ হুডা। কিন্তু নিজের দেশে, বলিউডে, সেই পারফরম্যান্স যেন থেকে গেল উপেক্ষিত! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রণদীপ স্পষ্টভাবেই বললেন, “বিদেশে তো সবাই ওই ছবিতে আমাকে দেখে প্রশ্ন করেছিল, ‘এই অভিনেতাটা কে?’ কিন্তু ভারতে কেউ কিছু বললই না! বলিউড থেকে টুঁ শব্দটি আসেনি। সংবাদমাধ্যম ছাড়া আর কেউ তো ‘এক্সট্র্যাকশন’-এ আমার পারফরম্যান্স নিয়ে কোনও কথা-ই বলল না।” এরপরেই বিস্ফোরক মেজাজে তিনি জানান, এই ছবিতে তাঁর সাফল্য দেখে ভয় পেয়েছিল বলিউডের বহু বাসিন্দা! তাঁর আরও যুক্তি যেখানে বলিউডের একাধিক অভিনেতা হলিউডের কোনও ছবিতে ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করলেও ঢাকঢোল পিটিয়ে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তা প্রচারে ব্যস্ত থাকে, সেখানে ‘এক্সট্র্যাকশন’-এর মতো ছবিতে তাঁর অভিনীত একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রটি নিয়ে কেউ কথা পর্যন্ত বলেনি .প্রশংসা তো দূর অস্ত! রণদীপ জানান, এই ছবির সুবাদে আন্তর্জাতিকভাবে তিনি এতটাই প্রশংসিত হয়েছেন যে অনেকে তার আগের ছবিগুলোও খুঁজে দেখেছেন। আর সেই অ্যাকশন চরিত্রটা বেছে নেওয়াটাও ছিল একেবারে সচেতন সিদ্ধান্ত। অভিনেতার কথায় – “আমি চাইছিলাম‘এক্সট্র্যাকশন’-এ একটা অন্য ধরনের চরিত্র করতে। সাধারণভাবে ভারতীয়দের বিদেশে দেখা হয় ডাক্তার, ট্যাক্সি চালক বা কেরানি হিসেবে। আমাদের কখনওই ‘শক্তপোক্ত ভাবা হয় না। সেই ভাবনাটাই ভাঙতেই আমি থরের (ক্রিস হেমসওয়ার্থ) সঙ্গে লড়াইয়ের সুযোগটা লুফে নিই,” বলেন রণদীপ। রণদীপ হুডা ‘এক্সট্র্যাকশন’-এ অভিনয় করেন ‘সাজু রাভ’ চরিত্রে, একজন প্রাক্তন প্যারা স্পেশাল ফোর্স অফিসার। এটি ছিল তার প্রথম হলিউড প্রজেক্ট, এবং প্রযোজক ছিলেন রুশো ব্রাদার্স– অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম এবং ইনফিনিটি ওয়ার ছবি খ্যাত পরিচালক জুটি। বলিউডে নিজের সহ-অভিনেতাদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়ার প্রসঙ্গে রনদীপ একবার বলেছিলেন, “আমি এসবের সঙ্গে অভ্যস্ত। হয়তো তাঁদের আমার অভিনয় ভাল লাগায়নি, শুধু অ্যাকশনটাই ভাল লেগেছে। তাই হয়তো চুপ ছিল।”
