প্রয়াত শিল্পী রঞ্জন ঘোষাল (৬৪)। বৃহস্পতিবার ভোরে নিজের বাড়িতে ঘুমের মধ্যে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এদিন বেঙ্গালুরুতেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘ দিন একাধিক অসুখে ভুগছিলেন তিনি। বাংলায় অন্য ধারার সঙ্গীত আনার পেছনে যে কয়েকজন শিল্পীর অবদান রয়েছে তার মধ্যে রঞ্জন অন্যতম।বাংলা ব্যান্ডের পথ শুরু হয় মহীনের ঘোড়াগুলির হাত ধরেই। সেই দলের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন তিনি। সেই বেপরোয়া, বর্ণময় মানুষটি চলে গেলেন বর্ণহীনভাবেই। বর্ধমানের মেমারির পথ পেরিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক, পরবর্তীতে মুম্বইয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করেছিলেন রঞ্জন ঘোষাল।তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষাল ও দুই পুত্রকে। ১৯৭৪ সালে গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের ব্যান্ডের সদস্য ‘ভেসে আসে কলকাতা’, ‘সংবিগ্ন পাখিকুল’, ‘মেরুন সন্ধ্যালোক’র মতো গান লিখেছেন। মহীনের ঘোড়াগুলির প্রথমে নাম ছিল সপ্তর্ষি। রঞ্জন ঘোষাল ছাড়াও ব্যান্ডের সদস্য ছিলেন তপেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস দাস, আব্রাহাম মজুমদার, বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায় ও প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়।