৭৩ তম সাধারণতন্ত্র দিবসে প্রতিবারের মতো এবারেও কলকাতার রেড রোডের এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ রেড রোডে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজির হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এবং বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।। গত মঙ্গলবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য সরকার ও স্পিকারের বিরুদ্ধে বেনজির আক্রমণ শানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। যার রেশ দেখা গেল রেড রোডে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের আচরণে রীতিমত ক্ষুদ্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার প্রমাণ প্রকাশ্যে মিলল রেড রোডের অনুষ্ঠানে। বুধবার সাধারণতন্ত্রের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেয়ারের দিকে এগিয়ে গেলেও শুধুই ‘নমস্কার’ পর্বে ইতি করে দেন মমতা। রাজ্যপালের থেকে দূরত্ব বজায় রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। যা রেড রোডের অনুষ্ঠানে ধরা পড়ে। এদিন উভয়ের সৌজন্য সাক্ষাৎও হয়। এরপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্যপাল। শুরু হয় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান। কোভিডবিধির কথা মাথায় রেখে এবার ভিড় এড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তাই দর্শকদের প্রবেশের উপর জারি ছিল নিষেধাজ্ঞা। ভিআইপি সংখ্যাও ছিল কম। এদিন রেড রোডের মূল অনুষ্ঠানের জায়গা
মোড়া ছিল কড়া নিরাপত্তার চাদরে। দিল্লির কুচকাওয়াজ থেকে বাদ পড়েছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে তৈরি বাংলার ট্যাবলো। যা নিয়ে চরমে পৌঁছায় কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। চিঠি, পালটা চিঠির পরও বাংলার ‘নেতাজি’র ঠাঁই হয়নি দিল্লির রাজপথে। দেশের ৭৩ তম সাধারণতন্ত্র দিবসে সেই ট্যাবলোই প্রদর্শিত হল রেড রোডে। দর্শকাসন থেকে হাত জোড় করে সম্মান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিন কলকাতার রাজপথে সামরিক বাহিনী, কলকাতা পুলিশ, রাজ্য সরকারের তরফে নানান শোভাযাত্রা ও শক্তি প্রদর্শন করা হয়েছে। সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী এদিন একাধিক টুইট করেন। তাতে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে রক্ষা করা ও সংবিধানকে মর্যাদা দেওয়ার ব্যাপারে সকলকে আহ্বান জানান মমতা। ভারতীয় সংবিধানে সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা, ন্যায়বিচারের যে কথা বলা হয়েছে, তা রক্ষা করতে হবে বলে টুইটে লেখেন মুখ্যমন্ত্রী।