টানা তিনদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ মাদক যোগের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় রিয়া চক্রবর্তীকে । সন্ধে সাড়ে ৭টার সময় অনলাইনে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তাঁকে পেশ করা হয় । তাঁকে ১৪ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত । ছেলের মৃত্যুর জন্য রিয়া সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে বিহারের রাজীব নগর থানায় ২৫ জুলাই এফআইআর দায়ের করেন সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা কে কে সিং । তাঁর অভিযোগ, সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন রিয়া । এছাড়া রিয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও তোলেন তিনি । সেই এফআইআর -এর ভিত্তিতে ৩১ জুলাই আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তদন্তের সময় রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে মাদকচক্রের সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার ইঙ্গিত পান তদন্তকারীরা । এরপর বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য এনসিবি-কে লিখিভভাবে অনুরোধ করা হয় ইডি-র তরফে । তখনই রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করে এনসিবি । তদন্তে নেমে ৪ সেপ্টেম্বর মাদক যোগে রিয়ার ভাই সৌভিক ও সুশান্তের সহকারী স্যামুয়েল মিরান্ডাকে গ্রেপ্তার করে এনসিবি ।৫ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় সুশান্তের পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্তকে । এরপর রবিবার প্রথমবার রিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা । টানা তিনদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এনসিবি । সুশান্তের মৃত্যুর ৮৭ দিনের মাথায় গ্রেপ্তার করা হল রিয়াকে । গ্রেপ্তারের পরই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় । তাঁর কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানা গিয়েছে । এরপর সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ তাঁকে অনলাইনে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করেন তদন্তকারীরা । তারপর তাঁকে ১৪ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।