রাজনীতি

Operation Sindoor : ‘জয়ের মুখে’ সিজফায়ার কেন? যাচাই করবে RSS! অস্বস্তি বাড়ছে বিজেপির অন্দরে

‘অপারেশন সিঁদুর’ সাফল্য নিক্তিতে ফেলে মাপবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)! এমনটাই জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, কাশ্মীরের পহেলগামের জঙ্গি হামলার পরে ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনমনের জেরে কোন পরিস্থিতিতে মোদী সরকার বাধ্য হয়েছে প্রত্যাঘাতে, সেই পর্যায় খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি কোন পরিস্থিতিতে এবং কেন ভারত সরকার পাকিস্তানের তরফে দেওয়া সিজফায়ারের প্রস্তাবে সম্মত হলো, খতিয়ে দেখা হবে সেই বিষয়টিও। গত ৬ মে মধ্যরাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছিলেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত। সূত্রের দাবি, এই বৈঠক শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারত প্রত্যাঘাত করে। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু গোল বাঁধে ভারত সরকারের তরফে গৃহীত সিজ়ফায়ার সংক্রান্ত অবস্থানে। কেন এবং কোন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের তরফে পেশ করা সংঘর্ষ বিরতির প্রস্তাব মেনে নিল মোদী সরকার, সেটাই সবিস্তার খতিয়ে দেখা হবে সঙ্ঘ পরিবারের তরফে। এখানেই গোটা বিষয়টি একটি নতুন মাত্রা পাচ্ছে বলে দাবি জানানো হচ্ছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের তরফে। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য প্রচারের জন্য ইতিমধ্যেই বিজেপি ‘তিরঙ্গা যাত্রা’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে সেই প্রচারে সেনাবাহিনীর সাফল্য বাদ দিয়ে কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করতে নিষেধ করা হয়েছে পার্টিকে৷ এই প্রেক্ষাপটে আরএসএস যে মূল্যায়নের কথা ভাবছে, তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে। ঘটনা হলো, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর এমন একটা পর্যায়ে পাকিস্তানের সিজফায়ারের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে ভারত সরকার, যখন ভারতীয় সেনার তীব্র প্রত্যাঘাতে রীতিমতো ভেঙে পড়েছে পাকিস্তানের ডিফেন্স। পাক এয়ার ডিফেন্স ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি একের পর এক এয়ারবেসে আঘাত করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এমনকী, পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকেও এই সময়ে বাঙ্কারে লুকোতে হয়েছিল। ঠিক এমন মুহূর্তে ভারত সিজফায়ার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাওয়া আখেরে ‘জয়ের মুখ থেকে পরাজয় ছিনিয়ে আনা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন বিখ্যাত জিও স্ট্র্যাটেজিস্ট ব্রহ্মা চেলানি। সাধারণ নাগরিক থেকে প্রাক্তন সেনাকর্তাদের অনেকেও সরকারের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত নন। সূত্রের দাবি, বিজেপি এবং সঙ্ঘের অন্দরেও এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মতপার্থক্য আছে। সিজফায়ারের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদি সরকারের শীর্ষ মন্ত্রীরা এ নিয়ে সঙ্ঘ পরিবারকে পুরোপুরি অবহিত করেছিলেন কি না, তা নিয়েও সংশয় আছে। এই আবহে সরকারের সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের মধ্যে কী প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, সেটাও যাচাই করবে সঙ্ঘ নেতৃত্ব।