হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন অভিনেতা সইফ আলি খান ৷ তাঁর সঙ্গে রয়েছেন করিনা কাপুর খান, মেয়ে সারা আলি খান ৷ পাঁচ দিন পর মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন অভিনেতা ৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সইফকে ৷ অন্যদিকে, এদিনই 16 তারিখে ঘটনার বয়ান অভিনেতার থেকে নিতে পারে মুম্বই পুলিশ ৷ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজাদ মহম্মদ রোহিলা আমিন ফকিরকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছে মুম্বই পুলিশ ৷ ফরেন্সিক টিম বাথরুমের জানালায় পেয়েছে অভিযুক্তের আঙুলের ছাপও ৷ শরিফুলকে নিয়ে যাওয়া হয় সইফ আলি খানের বাড়িতে, বান্দ্রা রেল স্টেশন ও বাস স্টপে ৷ সেখানে অভিযুক্ত কোথায়-কী করেছে তা খুঁটিয়ে দেখেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা ৷ পাশাপাশি, অভিনেতার ওপর হামলার পর তাঁর বান্দ্রার বাড়িতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ৷ বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে একাধিক পুলিশ ৷ পাশাপাশি ঘটনার তদন্তের স্বার্থে সইফ-করিনার ‘সৎগুরু শরণ’ বিল্ডিংয়ের ফ্ল্যাট সিল করে রেখেছে পুলিশ ৷ জানা গিয়েছে, ফরচুন হাইটে তারকাদের যে ফ্ল্যাট রয়েছে আপাতত জেহ, তৈমুর, করিনা ও সইফ সেখানেই থাকবেন ৷ অর্থাৎ নিরাপত্তার স্বার্থে পুরনো ফ্ল্যাটেই ফিরছে তারকা দম্পতি ৷ ফ্ল্যাটের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাও ৷ ১৬ তারিখ ভোর রাতে সইফ আলি খানের ওপর হামলা করে শরিফুল ৷ চুরি করার মতলবে বাড়ির পাইপ বেয়ে ১২ তলার ফ্ল্যাটে বাথরুমের জানালা দিয়ে সইফের ঘরে প্রবেশ করে অভিযুক্ত ৷ ধরা পরে যাওয়ার পরেই ধারালো ছুরি দিয়ে ছ’বার অভিনেতাকে আঘাত করা হয় ৷ লীলাবতী হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয় অভিনেতার ৷ এখন আগের থেকে অভিনেতার স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে ৷ পাঁচদিন পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় ‘হামতুম’ অভিনেতাকে ৷