বিনোদন

দুর্বল চিত্রনাট্য! প্রথম দিনেই মুখ তুবড়ে পড়ল সলমনের ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ 

প্রতিবারই ইদে ধামাকাদার কিছু নিয়ে হাজির হন ‘ভাইজান’। এবারও তার অন্যথা হল না। ইদে হাজির সলমন খান, সঙ্গে হাজির তাঁর ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’। বহুদিন ধরেই সলমনের ছবির জন্য অপেক্ষা করে ছিলেন তাঁর অনুরাগীরা, এবারও ছিলেন। অবশেষে বক্স অফিসে নিজস্ব মেজাজে হাজির ‘সল্লু মিঞা’। কিন্তু প্রেক্ষাপট, চিত্রনাট্য ভীষণই দুর্বল। গল্পে নতুনত্বেরই বড়ই অভাব। আড়াই ঘণ্টারও কম সময়ে তিনি এই ছবিতে এত বেশি মশলা ঢেলেছেন, যে সবকিছু সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারেননি। একটি দৃশ্যের সঙ্গে অন্য দৃশ্যের সংযোগ বড়ই কম। ‘ভীরাম’ সঙ্গে সলমনের ছবির তুলনা উঠলে বলতেই হয় ‘ভীরাম’-এর চিত্রনাট্য এতটা দুর্বল ছিল না। মনে হয়েছে এই ছবিতে অকারণেই অনেক তারকাদের একসঙ্গে নিয়ে ফেলেছেন সলমন, তাঁদের বিশেষ কাজে লাগাতে পারেননি। যেমন এই ছবিতে ভাগ্যশ্রী বা ভূমিকা চাওলার প্রায় কিছুই করার ছিল না। প্রতিশোধ নিতে চাওয়া জগপতি বাবুকে একজন শক্তিশালী ভিলেন হিসেবে দেখানোই যেত। তবে তাঁর কাজকর্ম কথাবার্তা যেন সেই ৮০-এর দশকের ভিলেনদের কথা। সলমনের চরিত্রটিও আরও অনেক বেশি যত্ন নিয়ে বানানো উচিত ছিল। সবমিলিয়ে ছবিটিকে বড়বেশি একঘেয়ে বলেই মনে হয়েছে। যদি কেউ ভাবেন সিটি দেওয়ার জন্য ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ দেখতে হলে যাবেন, তাহলে তাঁকে নিরাশ হতেই হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষ্যে ভাইজান তাঁর ভক্তদের জন্যে একটি করে ছবি উপহার দেন । বিগত ১৩ বছর ধরে এই রীতির অন্যথা করেননি অভিনেতা। তবে করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে যে ভাবে ভেঙে পড়েছিল বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি তাঁর ফলে ছন্দপতন ঘটেছিল ভাইজানের। তবে চলতি বছরের ঈদে আবারও বক্স অফিসে চলছে সলমনের ছবি। ২১ এপ্রিল ঈদ উপলক্ষ্যে মুক্তি পেয়েছে ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ । ২০১৯ সালের পর ২০২৩ সালে আবার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে সলমনের ছবি চলছে। চার বছর পর ঈদের উৎসবের আমেজে ভাইজানের আগমন। ছবির প্রথম দিনের সংগ্রহ কেমন ছিল? ২১ এপ্রিল, ঈদের আগের দিন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সলমন খানের ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’। মুক্তির প্রথম দিন ছবির ব্যবসা ১৫ কোটি ৮১ লক্ষ। তবে ২০১০ সালে দাবাং ছবি দিয়ে সলমন খান তাঁর ভক্তদের ঈদে ছবি উপহার দেওয়া শুরু করেছিলেন। ১৩ বছরে প্রথম ঈদে সলমনের ছবির ব্যবসা ধুঁকছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক বিগত ১৩ বছরে ঈদে মুক্তি পাওয়া ভাইজানের ছবির প্রথম দিনের ব্যবসা কেমন ছিল…

২০১০  – দাবাং – ১৪ কোটি ৫০ লক্ষ

২০১১  -বডিগার্ড – ২১ কোটি ৬০ লক্ষ

২০১২ – এক থা টাইগার – ৩২ কোটি ৯৩ লক্ষ

২০১৪ – কিক – ২৬ কোটি – ৪০ লক্ষ

২০১৫ – বজরঙ্গি ভাইজান – ২৭ কোটি ২৫ লক্ষ

২০১৬ – সুলতান – ৩৬ কোটি ৫৪ লক্ষ

২০১৭ – টিউবলাইট – ২১ কোটি ১৫ লক্ষ

২০১৮ – রেষ থ্রি – ২৯ কোটি ১৭ লক্ষ

২০১৯ – ভারত – ৪২ কোটি ৩০ লক্ষ

২০২৩ – কিসি কা ভাই কিসি কি জান – ১৫ কোটি ৮১ লক্ষ