আরিয়ান খানের মাদক মামলার এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের টাকা নিয়ে সাক্ষীকে প্রভাবিত করার অভিযোগ। আজই এনডিপিএস আদালতে হলফনামা জমা দিলেন তিনি। অভিযোগ অস্বীকার এনসিবি কর্তার। শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান মামলায় তাঁকে মিথ্যে ফাঁসানো হতে পারে। সেই আশঙ্কা আগেই করেছিলেন নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) জোনাল ডিরেক্টর। সেই আশঙ্কায় দিল্লি যাচ্ছেন সমীর। উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। মাদক মামলার শাহরুক খানের ছেলে আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করে এনসিবি। এর পরেই ঘটনায় প্রমোদতরী মাদক মামলার সাক্ষী কে পি গোসাভির ব্যক্তিগত দেহরক্ষী প্রভাকর সেইল এনসিবি কর্তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তলেন। জানান, টাকার বিনিময়ে তাঁকে মিথ্যা সাক্ষী দিতে চাপ দেন এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে।মুম্বই আদালতে হলফনামা দিয়ে জানান এনসিবি কর্তার সঙ্গে তাঁর ৮ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল। এমনকি চুক্তি মেনে না নিলে তাঁকে প্রানে মারারও হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়াও মুম্বাই পুলিশকে তিনি জানান , তাঁকে ৩ অক্টোবর এনসিবি দফতরে জেরার জন্য ডাকা হয়েছিল। সেখানে তাঁর ওপর জোর করে একটি সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে। সমীরের বিরুদ্ধে এই চাঞ্ছল্যকর অভিযোগে বিশয়তি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় এনসিবি। সোমবার সকালে এই মামলারই হলফনামা জমা দিয়েছেন সমীর। যেখানে এইসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। উপরন্তু জানিয়েছেন রাজনৈতিক ভাবে চক্রান্ত করে তাঁকে এই মামালায় ফাঁসানো হচ্ছে।জানিয়েছেন তাঁর চাকরি সংশয়ে। এছাড়াও এই ঘটনায় তাঁর পরিবারের ক্ষতি করারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। সোমবার আদালতে হলফনামা জমা দেওয়ার পর তিনি দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন। সূত্রের খবর, দিল্লি গিয়ে এই মামলা নিয়েই উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। তবে আরিয়ান খান মাদক মামলায় ক্রমশ যে এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের ওপড় চাপ বাড়ছে তা বলাই বাহুল্য।