বদায়ুঁতে গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সত্যনারায়ণ । বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। বাইকে চড়ে পালাবাহর সময়ই সত্যনারায়ণকে গ্রেফতার করে পুলিস। তার আগেই বুধবার সত্যনারায়ণের ২ শিষ্যকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। অভিযোগ, রবিবার বছর ৫০-এর ওই মহিলা যখন মন্দিরে পুজো দিতে যান, তখনই তাঁকে গণধর্ষণ করে সত্যনারায়ণ ও তাঁর ২ শিষ্য। ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয় নির্যাতিতা। নৃশংসতায় হাথরসের স্মৃতিকে উসকে দিয়েছে বদায়ুঁ কান্ড। মৃতার ছেলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, অভিযুক্ত প্রধান পুরোহিত সত্যনারায়ণ ও তার ২ শিষ্য একটা গাড়িতে করে এসে বাড়ির দরজার সামনে নির্যাতিতা মহিলার দেহ ফেলে রেখে চম্পট দেয়। তিনি আরও জানান, প্রায় রোজই ওই মন্দিরে পুজো দিতে যেতেন তাঁর মা। রবিবারও বিকেল ৫টা নাগাদ পুজো দেওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন নির্যাতিতা। এরপর রাতে সাড়ে ১১টা নাগাদ অভিযুক্তরা তাঁর রক্তাক্ত দেহ বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর সোমবার সকালের এক ছবিতে দেখা যায়, একটা খাটিয়ার উপর শোওয়ানো রয়েছে নির্যাতিতা মহিলাকে। তাঁকে ঘিরে রয়েছে পরিবারের লোকেরা ও গ্রামবাসী। একটা হলুদ রঙের চাদর দিয়ে মহিলার শরীরের নিম্নাংশ ঢাকা। রক্তে ভিজে গিয়েছে সেই চাদরটি। পা-ও ভাঙা অবস্থায় ঝুলছে। অভিযোগ, নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে আঘাত করা হয়। ভারী কিছু দিয়ে বার বার বুকের উপরও আঘাত করা হয়। যার জেরে মহিলার পাঁজরের হাড়ও ভেঙে যায়।