আজ আরজি কর কাণ্ডের হাইপ্রোফাইল মামলার সাজা ঘোষণা হল। সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল আদালত। অর্থাৎ আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ শিয়ালদা আদালতের। বিচারক অনির্বাণ দাস জানিয়ে দিলেন, বিরলের থেকে বিরলতম ঘটনা নয়, বলে জানিয়ে দিলেন বিচারক অনিবার্ণ দাস। রাজ্যেকে নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ। শিয়ালদহ আদালত রায় ঘোষণার পর ভবানীপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সঞ্জয় রায়ের বোন ৷ তিনি জানিয়ে দেন,এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করার কোনও পরিকল্পনা তাঁদের নেই ৷ ২০০৭ সালে বিয়ের পর থেকে বাপেরবাড়ির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই ৷ আর তাই সঞ্জয় রায় এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে কি না সে ব্যাপারে তাঁর কোনও ধারনা নেই ৷ আগেও তিনি জানিয়েছিলেন,খুব কম বয়স থেকেই সঞ্জয় মদের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে ৷ কিন্তু কোনও মহিলার সঙ্গে কখনও অশোভন আচরণ করেছে, এমন অভিযোগ পাননি তার বোন ৷ সেই সময় তিনি জানিয়ে দেন, দোষ করলে সাজা পাবে। আর যদি ফাঁসি দেওয়া হয়, তাহলে দেহ তারা চান না। যত সময় এগিয়েছে ততই দেশবাসীর মধ্যে এক উত্তেজনা কাজ করেছে। কলকাতা বুকে একটি হাসপাতাল রোগীরা সেখানে সুস্থ হতে আসেন। কিন্তু সেই ৯ আগস্ট আরজিকর হাসপাতালে হয়ে গেল এক নারকীয় ঘটনা। এক তরুণী চিকিৎসকের দেহ মিলল। পুলিশির তথ্যে জানা গেল, ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। প্রশ্ন ওঠে কোথায় ছিল হাসপাতালের নিরাপত্তা? যে মুহূর্তে এই ঘটনা ঘটনা ঘটল হাসপাতালের কোনও নার্স, চিকিৎসক হাসপাতালের কর্মীদে কাছে কেন কোনও খবরের আঁচ পাওয়া গেল না। ঘটনায় নেমে প্রথমে পুলিশ সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গত ১০ আগস্টকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর কলকাতা পুলিশের হাত থেকে সিবিআই এই মামলার তদন্ত শুরু করে। সিবিআইয়ের তথ্যেও সঞ্জয় রায়কেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে জানানো হয়। সিবিআই চার্জশিট পেশ করে। ১৮ জানুয়ারি শনিবার এই মামলার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে হয়। আর আজ রায় ঘোষণা করা হল। মামলায় এজলাসে নিজেকে নির্দোষ বলে জানাল ঘটনায় মূল দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়। সে জানায়, ধর্ষণ, খুন কোনওটাই সে করেনি। কিন্তু বিচারক অনিবার্ণ দাস জানিয়ে দেন, সমস্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এই সাজা ঘোষণা করা হবে।