সেবকের বাগপুলে (করোনেশন সেতু) শ্যুটিংয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্লোজ করা হল সেবক ফাঁড়ির ওসিকে । পাশাপাশি ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রোডাকশন ম্যানেজার চৈতালি বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া শ্যুটিংয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে । অন্যদিকে, ওসি ডালিম অধিকারিকে তৎক্ষণাৎ দার্জিলিং জেলা পুলিশ লাইনে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । চৈতালি বন্দ্যোপাধ্যায় মুম্বইয়ের একটি সিনেমা প্রস্তুতকারক সহযোগী সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত। শিলিগুড়িতে সংশ্লিষ্ট সংস্থার অফিস আছে। আজ শুক্রবার ধৃতকে কালিম্পং কোর্টে তোলা হচ্ছে। এদিকে, সংশ্লিষ্ট সেতুটি আজ পর্যবেক্ষণ করবে পুর্ত দপ্তরের হাইওয়ে ডিভিশন-৯।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার হেরিটেজ শিরোপাধারী সেবকের বাগপুলে বিনোদ মেহেরার ছেলে রোহন মেহেরার হিন্দি ওয়েব সিরিজ “কালা”র শ্যুটিংয়ের অংশ হিসেবে একটি আর্মি ট্রাকে বিস্ফোরণ করানো হয় । কিন্তু ওই বিস্ফোরণের জন্য দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি । বিস্ফোরণের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন । প্রশাসনের বিনা অনুমতিতে কীভাবে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ওই দুর্বল সেতুর উপর শ্যুটিংয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হল, সেই প্রশ্ন ওঠে । অন্যদিকে, করোনেশন সেতু থেকে অল্প দূরত্বে থাকা সেবক থানার পুলিশ ওই ঘটনা না আটকে উলটে কীভাবে শ্যুটিংয়ে সহযোগিতা করল, সেই বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এরপরই তড়িঘড়ি ওই ঘটনার তদন্তে নামে দুই জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান তাঁরা। রাজ্য পুলিশের আইজি (উত্তরবঙ্গ) দেবেন্দ্রপ্রতাপ সিং অন্তর্বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে সেবক ফাঁড়ির ওসি ডালিম অধিকারির কর্তব্যে গাফিলতি মেলে। তারপরই তাঁকে ক্লোজ করা হয় ।