স্বাস্থ্যদপ্তরের বিশেষ সচিবকে সরাল রাজ্য। দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে অন্য এক আধিকারিকের হাতে। বুধবার রাতেই জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। বিজেপির দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বদলি হয়ে গেলেন স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ সচিব। বুধবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতরের ওষুধ ও সরঞ্জাম বিভাগের সচিব পদ থেকে চৈতালি চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্যভবনে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তখন তাঁর সঙ্গে কথা হয় চৈতালিদেবীর। বিজেপির দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে সরকারি আমলাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এই বার্তা দিতেই বদলি করা হয়েছে চৈতালি চক্রবর্তীকে। বুধবার দুপুরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্যভবন অভিযান করেন বিজেপি বিধায়করা। স্বাস্থ্যভবনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি নিয়েই সেখানে যান তাঁরা। তার পরও তাদের ব্যারিকেড করে আটকায় পুলিশ। পরে অনুমতি থাকার ব্যাপারটি প্রকাশ্যে এলে দরজা খুলতে বাধ্য হয় পুলিশ। স্বাস্থ্য ভবনে তখন ছিলেন না স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। তার বদলে ওষুধ ও সরবরাহ দফতরের সিনিয়র স্পেশ্যাল সেক্রেটারি চৈতালি চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দুবাবু। সেখান থেকে বেরিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, কী ভাবে সংক্রমিত স্যালাইন প্রসূতিদের কাছে পৌঁছল তার জবাব দিতে পারেননি সচিব। গত ১ মাসে যাদের এই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে তাদের সবার তালিকা প্রকাশ করতে হবে সরকারকে। কারণ, চিকিৎসকরা বলছেন এই স্যালাইন ব্যবহারের ফলে ৬ মাসের মধ্যে যে কারও কিডনি ফেল করতে পারে। তখন সরকার দায় ঝাড়তে অন্য যুক্তি খাড়া করবে। এমনকী সংক্রমিত স্যালাইনকাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারিও দাবি করেন তিনি। চৈতালিদেবীর জায়গায় ওষুধ ও সরবরাহ দফতরের নতুন সচিব করা হয়েছে শুভাঞ্জন দাসকে।