চরম আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকছে শ্রীলঙ্কায়। সরকারের বিরোধিতায় পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি হাতে রাখতে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাক্ষে সরকার। চলছে ৩৬ ঘণ্টার কারফিউও। এবার বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হল। হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কা সরকার জানিয়েছে, ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় খাদ্য, অপরিহার্য, জ্বালানী ও ওষুধের অভাব দেখা দিয়েছে। যার কারণে ক্ষোভ বাড়ছে জনসাধারণের। দেশের এই পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী করে পথে নামে নাগরিকরা। বৃহস্পতিবার রাতে কলম্বোর মিরিহানায় প্রেসিডেন্টের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করে কয়েকশো মানুষ। এতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের। টিয়ার শেল ও জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ৫০ জন। ঘটনায় ৪৫ জনকে আটক করা হয়। দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার। এছাড়াও দেশজুড়ে ৩৬ ঘণ্টার জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই কারফিউ জারি থাকবে।