জেলা

শিক্ষকদের গাফিলতির জের, একই ছাত্রকে ১০ মিনিটে দু’বার করোনা ভ্যাকসিন ডেবরায়

একই ছাত্রকে দু’বার ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগ উঠল ডেবরা আলোক কেন্দ্র স্কুলে। ছাত্রের অভিযোগ, তাকে শিক্ষকদের গাফিলতির জন্য দু-দু’বার ভ্যাকসিন দেওয়া হয় । একবার টোকেন দেওয়ার আগে এবং একবার টোকেন দেওয়ার পর । স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ ছাত্রটিকেও পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে ।

সংক্রমণ রুখতে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরেও চলছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী পড়ুয়াদের করোনা টিকাকরণ কর্মসূচি । সেই মতো ডেবরা ব্লকের আলোক কেন্দ্র হাইস্কুলেও ১৫-১৮ বছরের পড়ুয়াদের টিকাকরণ চলছিল ৷ সেখানেই সোমবার আবদালীপুর এলাকার বাসিন্দা নবম শ্রেণির ছাত্র উমেশ পাঁড়কে দশ মিনিটের ব্যাবধানে পর পর দু’টি করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ পড়ুয়া জানায়, টোকেন ছাড়া একবার ভ্যাকসিন নিয়েছে সে । কিন্তু শিক্ষকরা তার কথা না শুনেই টোকেন দেওয়ার পর আরও একবার ভ্যাকসিন দেওয়ান ৷ এই ঘটনার পর রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় । পড়ুয়ার বাবা বলেন, “আমার ছেলে ভ্যাকসিন নিয়ে বেরোনোর পর আবার একবার ডেকে নিয়ে গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ান স্যারেরা । তাঁরা ভেবেছিলেন ও হয়ত ভয় পাচ্ছে বলে ভ্যাকসিন নেয়নি । কারণ প্রথমবার ওর টোকেনটি ভুল করে জমা নেওয়া হয়নি । তাই টোকেন জমা নিয়ে আরও একবার ভ্যাকসিন দিয়েছে। বাড়িতে এসে বলার পরই আমি স্কুলে গিয়েছিলাম । প্রধান শিক্ষক বললেন, এরকম হওয়ার কথা নয় । যদি হয়ও ভয় পাওয়ার দরকার নেই । তারপর আমাকে প্যারাসিটামল দেওয়া হয় । রাতে খাইয়েছি ।” জানা গিয়েছে, কিশোরের অবস্থা এখন স্থিতিশীল আছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও অবধি কোনও শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করেনি সে । তবে এই ঘটনা যে একেবারেই অনভিপ্রেত এবং কাঙ্ক্ষিত নয় তা জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভুবনচন্দ্র হাঁসদা । তিনি বলেন, “হয়ত সেরকম কোনও শারীরিক অসুবিধা হবে না। হলেও ছোটখাটো অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে ।” কড়া সুরে স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “এই ঘটনা একেবারেই কাঙ্ক্ষিত নয়। এত রকমের সচেতনতা অবলম্বন করা হচ্ছে, তা সত্ত্বেও এই ঘটনা কেন ঘটবে । আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব ।”