বাজেট পেশ এর আগে এদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্বদলীয় বৈঠকে বসেছিলেন মূলত তাঁদের মনোভাব জানার জন্য। সেই সভাতেই তৃণমূলের তরফে যোগ দিয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে মোদির সামনেই কার্যত কেন্দ্র সরকারের তুলোধনা করেন তিনি। এবারে সংসদে বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই তাল কেটেছে। গত শুক্রবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণ বয়কট করেন কংগ্রেস ও তৃণমূল সহ ১৬টি বিরোধী দল। তাতে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এদিন তৃণমূলের তরফে সুদীপবাবু কেন্দ্রের সমালোচনা করলেও এটাও জানিয়ে দেন যে, তৃণমূল কংগ্রেস লোকসভায় বাজেট ও রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নেবে। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে গেরুয়া শিবিরে। এদিন প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই সর্বদলীয় বৈঠকে সুদীপবাবু জানান, ‘দেশের সামনে এখন সবচেয়ে বড় ইস্যু হল কৃষি আইন। সরকারকে সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে। আমরা গতকালকের রাষ্ট্রপতির ভাষণের সমালোচনা করতে চাই না। কিন্তু, যখন ২০টি বিরোধী দল সেই ভাষণ বয়কট করল, সরকারের উচিত বিরোধীদের দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করা। লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার ফলে কৃষকদের সঙ্গে অবিচার হওয়া উচিত নয়। আমাদের দাবি, এই আইন নিঃশর্তে বাতিল করা হোক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন। সেখানে শুধু সংসদীয় নেতাদের নয়, দলের প্রধান নেতা/নেত্রীকে ডাকা হোক। এই আইন নিয়ে চুলচেরা আলোচনা হোক। এর মধ্যে দিয়ে দেশের কাছে সদর্থক বার্তা যাবে, যে সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মেনে কাজ করছে। দলের তরফে এটাই আমার আবেদন।’ এছাড়াও সুদীপবাবু এদিন বৈঠকে জানান, ‘আমি প্রত্যেকটি বৈঠকে একটা ইস্যু সবসময় উঠিয়ে থাকি। সেটি হল বেকারত্ব। বেকার যুবক, যুবতীরা অনিশ্চয়তার সঙ্গে লড়ছে। দেশজুড়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি। কীভাবে তাদের দিশা দেওয়া যায়, সরকারি চাকরির মাধ্যমে তাদের কষ্ট আদৌ লাঘব করা যায় কিনা, এ নিয়ে সংসদে বিশদে আলোচনা হওয়া উচিত। আমরা একটি ছোট রাজনৈতিক দল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতার ফলে রাজ্য সরকার কাজ করতে পারছে না। কেন্দ্র, রাজ্য দুই সরকারই জনগণ দ্বারা নির্বাচিত। আমাদের দেশে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো রয়েছে। কিন্তু, এই পরিকাঠামোর চরিত্র ও দর্শন নিয়ে সংসদে আলোচনা প্রয়োজন। পররাষ্ট্রনীতিতে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের পাশেই থাকি। কিন্তু, আমি অন্যদের সঙ্গে একমত, চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্যাগুলি আলোচনা হওয়া উচিত, যখন বিদেশ মন্ত্রকের বাজেট নিয়ে আলোচনা হবে।’