জেলা

ভরা কোটালে ভাঙল সুন্দরবনের নদীবাঁধ, সতর্কবার্তা মৎস্যজীবীদের

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। সোমবার আন্দামান উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে চলতি বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় । আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও লাগোয়া দক্ষিণ আন্দামান সাগরের উপরে যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে, তা ধীরে ধীরে উত্তর-পূর্ব দিকে সরতে শুরু করেছে । ২০ মার্চ রবিবার থেকেই নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হতে থাকবে । আগামিকাল সকালেই তা ঘূর্ণিঝড়ের আকার ধারণ করবে । বর্তমানে আন্দামান সাগরের উপর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে এগোচ্ছে নিম্নচাপটি । শক্তি বাড়িয়ে আগামী ২২ মার্চ উত্তর মায়ানমার ও বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে তা পৌঁছে যাবে । এর প্রভাবে আজ থেকেই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হবে । ইতিমধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলার কাজে নেমে পড়েছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী । দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ আন্দামান সাগরে উপকূলরক্ষী বাহিনী জাহাজে করে টহল দিচ্ছে । সতর্ক করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। আপাতত ৩-৪ দিন মৎস্যজীবীদের বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে । অন্যদিকে, আতঙ্কে রয়েছেন সুন্দরবনের নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষজন । পূর্ণিমার কোটালের জেরে বাসন্তী স্লুইস গেটের পাশে নদীবাঁধে ভাঙন ধরেছে । ফলে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে গোটা গ্রাম । প্রত্যন্ত সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের উত্তর মোকামবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের হাড়ভাঙ্গি এলাকার মানুষ লক্ষ্য করেন, নদীবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে । যার জেরে গ্রামে নোনাজল ঢুকতে শুরু করেছে বলেও খবর । গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, জোয়ারের সময় নদীর নোনা জল ঢুকে প্লাবিত হতে পারে গ্রামের পর গ্রাম । ক্ষতি হবে বাড়িঘর, গবাদি পশু-সহ ধান ও অন্যান্য সবজি চাষ । জানা গিয়েছে, সুন্দরবনের মাতলা নদীর তীরবর্তী হাড়ভাঙ্গি গ্রামের জল নিকাশির জন্য একটি স্লুইস গেট রয়েছে । গ্রামবাসীদের দাবি সেটি দীর্ঘদিন ধরে খারাপ অবস্থায় পড়ে রয়েছে । সেই গেটের পাশ থেকে বিশালাকারে ফাটল দেখা দিয়েছে নদীবাঁধে । নদীতে ভাঁটা থাকায় অল্প জল ঢুকতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই । জোয়ারের সময় নদীতে জলের চাপ বাড়বে । আর তখনই প্লাবিত হয়ে যেতে পারে গোটা গ্রাম । তাতেই ঘুম উড়েছে স্থানীয়দের ।