মোদি পদবি অবমাননা মামলায় রাহুল গান্ধির সাজা ঘোষণার আর্জির প্রেক্ষিতে গুজরাত সরকার ও মামলাকারী বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদির জবাব তলব করল শীর্ষ আদালত। আগামী ১০ দিনের মধ্যে দু’পক্ষকে জবাব দিতে বলেছে বিচারপতি বিআর গাভাই ও বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার রাহুলের আর্জির শুনানি চলাকালীন সাজার উপরে স্থগিতাদেশ নিয়ে জবাব দিতে ২১ দিনের সময় চেয়েছিলেন মামলাকারীর আইনজীবী। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দেন বিচারপতিরা। আগামী ৪ অগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি। পাঁচ বছর আগে কর্নাটকের কোলারে এক নির্বাচনী সভায় নীরব মোদি, ললিত মোদি, মেহুল চোকসিদের টাকা লুঠ করে দেশত্যাগ নিয়ে খোঁচা দিতে গিয়ে রাহুল বলেছিলেন, ‘সব চোরের পদবি কেন মোদি হয়?’ ওই মন্তব্যে ব্যক্তিগতভাবে আঘাত পেয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে সুরাত আদালতে ফৌজদারি মানহানি মামলা দায়ের করেন গুজরাতের সুরাতের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি। ওই মামলায় গত ২৩ মার্চ রাহুল গান্ধিকে দুই বছরের জেলের সাজা শোনান সুরাতের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। ওই রায়ের পরের দিনই নজিরবিহীন তৎপরতায় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির সাংসদপদ খারিজ করেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। সুরাতের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ৩ এপ্রিল সুরাত সেশনস আদালতের দ্বারস্থ হন রাহুল। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁর জামিন মঞ্জুর করলেও ২০ এপ্রিল রাজীব তনয়ের আর্জি খারিজ করে দেন বিচারক। সেশনস কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গুজরাত হাইকোর্টের দরজায় কড়া নেড়েছিলেন ওয়ানাডের প্রাক্তন সাংসদ। শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতি। অবশেষে দুই মাস কেটে যাওয়ার পরে গত ৭ জুলাই রায় দিতে গিয়ে রাহুলের আর্জি খারিজ করে দেন গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গত ১৫ জুলাই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।