হোয়াটসঅ্যাপে অভিযুক্তকে নোটিশ পাঠাতে পারে না পুলিশ ৷ গত 21 জানুয়ারি একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়েছে, 2023 সালের ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা অথবা ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড (সিআরপিসি) অনুযায়ী পুলিশ অভিযুক্তকে নোটিশ পাঠাতে হলে হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য কোনও ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে তা করতে পারবে না ৷ সেই নোটিশ বৈধ বলে গ্রাহ্য হবে না ৷ এদিন বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের বেঞ্চ সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, 1973 সালের সিআরপিসি’র ধারা 41A বা 2023 সালের বিএনএসএস-এর 35 নম্বর ধারায় আইনে যে ভাবে নোটিশ জারি করার কথা বলা আছে, তারা যেন নিজেদের পুলিশ প্রশাসনকে সেই নিয়ম অনুযায়ী নোটিশ পাঠানোর কথা জানায় ৷ শীর্ষ আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশ, এটা পরিষ্কার করে জানানো হচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য কোনও ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে পাঠানো নোটিশকে 1973 সিআরপিসি বা 2023 বিএনএসএস-র বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে মান্যতা বা স্বীকৃতি দেওয়া হবে না ৷ পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের নেপথ্যে রয়েছে একটি মামলা ৷ সেই মামলায় উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল প্রবীণ আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরাকে ৷ তিনি হোয়াটসঅ্যাপে পুলিশের নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি আদালতে তুলে ধরেন ৷ তিনি আদালতে জানান, একটি মামলায় 1973 সিআরপিসি’র 41-A ধারার আওতায় অভিযুক্তকে হোয়াটসঅ্যাপে নোটিশ পাঠিয়েছিল পুলিশ ৷ কিন্তু, অভিযুক্ত ওই মামলায় তদন্তকারী আধিকারিকের কাছে হাজিরা দেননি ৷ আইনজীবী লুথরা জানান, স্বাভাবিক উপায়ে নোটিশ না পাঠিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে নোটিশ পাঠিয়ে পুলিশ প্রশাসন 1973 সিআরপিসি’র 41-A বা 2023 সালের বিএনএসএস-এর 35 নম্বর ধারার বাধ্যবাধকতাকে এড়িয়ে যাচ্ছে ৷ এরপরই সতেন্দর কুমার আন্টিলের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশ দেয় ৷ এদিন দেশের সব হাইকোর্টকে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলি যেন বৈঠক করে প্রতি মাসে অতীত এবং বর্তমানের সিদ্ধান্তগুলি সব স্তরে ঠিক করে কার্যকর হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করে ৷ এর সঙ্গে প্রতিমাসে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করতে হবে ৷ পাশাপাশি, হাইকোর্টগুলির রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবকে তিন সপ্তাহের মধ্যে নির্দেশ কার্যকরের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে, নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷