প্রাথমিকের ডিএলএড মামলায় রায় ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট। বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়। শুক্রবার বিচারপতি পিএস নরসিমহা এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ সাফ জানায়, ‘কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করা হচ্ছে। তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় মেনেই নিয়োগ করা যাবে।’ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ২০২২ সালে প্রাথমিকে ১১,৭৬৫টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, টেট উত্তীর্ণ এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডিএলএড প্রার্থীরা এবং ডিএলএড প্রশিক্ষণরত প্রথম বর্ষের উত্তীর্ণরাও আবেদন করতে পারবেন। পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু মামলাকারীদের আবেদনকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দেন। কিন্তু পরবর্তীতে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ও পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ ২০২৪ সালের এপ্রিলে রায় ঘোষণা করে। ডিভিশন বেঞ্চের রায় অনুযায়ী বলা হয়েছিল, ‘এনসিটিই-এর নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষক হতে গেলে ন্যূনতম শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। এক্ষেত্রে খাতায়কলমে ২০২২ সালের জুন মাসে কোর্স সম্পূর্ণ হলেও ওই সময়ের মধ্যে প্রার্থীরা শংসাপত্র পাবেন না। ওই বছর নভেম্বরে শংসাপত্র দেওয়া হবে। ফলে শংসাপত্র ছাড়া তাঁদের যোগ্য বলে বিবেচিত করা করা যায় না।’ এরপর ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ডিএলএড প্রশিক্ষণরতদের একাংশ। এদিন ছিল সেই মামলার শুনানি। শুনানিতে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানাল, ডিভিশন বেঞ্চের রায় খারিজ করে বহাল রাখা হল প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়য়ের রায়।
