শুভেন্দুর তৃণমূল ছেড়েছেন গত বছরের শেষে। দলের পদ, বিধায়ক পদ, মন্ত্রীত্ব, সব ছেড়ে গিয়েছেন বিজেপিতে। একুশের ভোটে জিতে ফের হয়েছেন বিধায়ক। এখন তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেই পদে থেকেই তিনি এবার চিঠি দিচ্ছেন দেশের প্রধানমন্ত্রীকে। সেই চিঠির বিষয়বস্তু বাংলার বন্যা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার বিশেষ করে দক্ষিনবঙ্গের বন্যার জন্য ডিভিসিকে দায়ী করেছেন। কেন্দ্রকেও দায়ী করেছেন ডিভিসির জলাধারগুলি সংস্কার না করার জন্য। এমনকি এই বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বন্যা থেকে সুরাহা চেয়ে চিঠিও পাঠিয়েছেন। সেই চিঠিরই কার্যত পাল্টা এক চিঠি এবার পাঠাচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। চিঠি দিচ্ছেন তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এটা জানিয়েই যে, এই বন্যার জন্য রাজ্য সরকারই দায়ী, ডিভিসি নয়। শুভেন্দু অধিকারী তাঁর চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন যে, ডিভিসি-র জল ছাড়া নিয়ে যে অভিযোগ রাজ্যের তরফেতোলা হয়েছে তা অসত্য। ডিভিসির মনিটরিং কমিটিতে সেচ দফতরের সচিব আছেন। ওয়েস্টার্ন সার্কলের চিফ ইঞ্জিনিয়র আছেন। ডিভিসি সতর্ক করার পরেও রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়নি। এদিন এই প্রসঙ্গেই শুভেন্দু সাংবাদিকদের জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রী ডিভিসি-র নামে যেটা বলছেন সেটা অসত্য। উনি বলেছেন ডিভিসি-র ইচ্ছে মতো জল ছাড়ার কারণেই ২০১৫, ২০১৭, ২০১৯ সালের পর আবার এই বছর রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমি কয়েক মাস সেচমন্ত্রী ছিলাম। ডিভিসি-র স্টেকহোল্ডার তো রাজ্য সরকারও। ডিভিসি-র মনিটরিং কমিটিতে সেচ দফতরের সচিব আছেন। ওয়েস্টার্ন সার্কলের চিফ ইঞ্জিনিয়র আছেন। ডিভিসি সতর্ক করার পরেও রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়নি। সেচ দফতর কোথায় মাইকিং করেছে? খানাকুল, আমতা, উদয়নারায়ণপুর, পুড়শুড়া, ঘাটাল কোথায় আগাম ব্যবস্থা নিয়েছে? আমিও প্রধানমন্ত্রীকে একটা চিঠি লিখছি। বন্যা, জল দুর্ভোগ নিয়ে জানাব। কলকাতা ও বিধাননগরে রাজ্য ‘দুয়ারে নর্দমার জল’ প্রকল্প চালু করেছেন। এর জন্য দায়ী এই রাজ্যের অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী।’