ভোটে জিতলে আর রেশন দোকানে কাউকে লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হবে না। ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে রেশন। আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এবার যাঁরা স্বাস্থ্যসাথী ) কার্ড পাননি তাঁদেরও বাড়িতে বাড়িতে কার্ড পৌঁছে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করলেন তৃণমূলনেত্রী। এদিন ভোট প্রচারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য পুলিশকে প্রশ্ন করেন, ‘বাংলার পুলিশ এত ভয় পায় কেন? ওরা রাজ্যের চাকরি করেন। বাড়ি বাড়ি বাহিনীকে পাঠিয়ে ওরা বসেছিল কেন?’ তাঁর হুঙ্কার’ ’৬৩টি এফআইআর হয়েছে। আইনিভাবে বুঝে নেব। প্রত্যকটা কেস করাবো, কাউকে ছেড়ে কথা বলব না।‘ তাঁর অভিযোগ, ‘নন্দীগ্রামে গুন্ডা পাঠিয়েছে বিজেপি। বিহার-ইউপি থেকে লোক এনেছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপিকে ভোট দিতে ভয় দেখাচ্ছে। পুলিশের পোশাকে ঘুরে বেড়াচ্ছে।‘ তিনি আরও বলেন, ‘দেবশ্রী রায়কে নিয়ে ক্ষোভ ছিল, তাই ওকে প্রার্থী করিনি। আর সেই রাগেই ও বিজেপিতে যোগ দিয়েছে।’ ছাড়াও প্রচারমঞ্চ থেকে এদিন বিজেপিকে তুলোধনা করেন মমতা। মিমকে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। হিন্দু-মুসলমান ভোট ভাগাভাগির জন্যই এরাজ্যের ভোটে বিজেপি হায়দরাবাদ থেকে তাদের এক বন্ধু আসাদউদ্দিন ওয়েইসিকে নিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ মমতার। একই সঙ্গে বাম-কংগ্রেস মোর্চার শরিক আইএসএফ পৃষ্ঠপোষক আব্বাস সিদ্দিকিকে ‘চ্যাঙড়া’ বলে তোপ দাগেন মমতা। ‘দেবশ্রী রায়কে নিয়ে ক্ষোভ ছিল, তাই ওকে প্রার্থী করিনি। আর সেই রাগেই ও বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। কলকাতা থেকে এত দূরে আসতে পারত না। যিনি এখানকার বিজেপি প্রার্থী, তিনি তৃণমূলের টিকিট চেয়েছিলেন। মমতা বলেন, ‘বিজেপির সবটাই তৃণমূলের থেকে ধার করা। বেশিরভাগটাই সিপিএমের হার্মাদ রয়েছে, বাকিটা আমাদের দলের গদ্দাররা। আগে সুন্দরবনের দিকে কেউ ফিরেও তাকাতো না। এখন অনেক উন্নতি হয়েছে। আরও হবে।’ তিনি এও বলেন, ‘আমপানে কেউ ছিল না। আমি রাত জেগে পাহারা দিয়েছি। দু-একটা জায়গায় যাঁরা সাহায্য পাননি আমি তাও করে দেব বলে কথা দিচ্ছি। সংখ্যালঘু ভাই-বোনেদের বলব হায়দরাবাদ থেকে বিজেপির এক বন্ধু এসেছে। আর ফুরফুরা শরিফের এক চ্যাঙড়াকে নিয়ে সে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে কমিউনাল স্লোগান দিচ্ছে। আর হিন্দু মসলমানে ভাগাভাগির চেষ্টা করছে। আর মুসলমানের ভোটটাকেও ভাগাভাগির চেষ্টা করছে। নন্দীগ্রামে আমার ভোট খুব ভালো হয়েছে। ওর যা করেচিল। মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছেন। নন্দীগ্রামের গ্রামগুলোতে গিয়ে বিজেপি হুমকি দিয়েছে। মেয়ে-বাচ্চা তুলে নিয়ে যাওয়ার ভয় দেখিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বিজেপি পুলিসের ড্রেস পরিয়ে ফেক পুলিস নিয়ে যাচ্ছে। গ্রামের লোককে ভয় দেখাচ্ছে। ওদের কথা শুনবেন না। ভোটের পর ওরা পালাবে। আমরা বাংলার লোক, আমরাই থাকব। তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার ১০ বছরে যা করেছে কোনও সরকার কোনওদিন তা করতে পারেনি, করবে না।’