নগর, জনপদ দখল করতে করতে কাবুলও দখল করেছে তালিবান। দখল করেছে আফগানিস্তানের মসনদ। ২০ বছর পর। এবার তারা জানিয়েছে, সেই নয়ের দশকের মতো কট্টরপন্থায় আর হাঁটবে না। দেশের সবাইকে ‘রাজক্ষমা’ করা হবে। মঙ্গলবার মহিলাদেরও সরকারে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাল। তালিবান নেতার কথায়, মহিলারাও প্রশাসনে থাকবে। তবে শরিয়তি আইন মেনে। নয়ের দশকে আফগানিস্তানের বুকে চেপ বসে তালিবান। শেষ করে আধুনিক শিক্ষা, মহিলাদের স্বাধীনতা। চাপিয়ে দেয় শরিয়তি আইন। ঘরবন্দি করে মহিলাদের। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে মার্কিন সেনা অধিকার করে আফগানিস্তান। সেই থেকে গত ২০ বছরে একটু একটু করে স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছেন আফগান মহিলারা। অংশ নিয়েছেন সরকার, প্রশাসন, আইন, শিক্ষার কাজে। এবার ফের তালিবানরা ক্ষমতায় আসায় আবারও আতঙ্কে তারা। তবে দ্বিতীয় দফার শাসনকালে তালিবানরা বোধ হয় একটু সাবধানী হয়েছে। সেকথা জানিয়েছে নিজেরাই। বলেছে, গত ২০ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকার সময় শিক্ষা নিয়েছে তারা। তালিবান সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রধান এমানুল্লাহ সামাগনি বলেছেন, ‘নতুন তালিবানি শাসনে মহিলাদের ওপর অত্যাচার চলুক, আমরা চাই না। সব কিছু পরিচালিত হয় শরিয়তের আইন অনুসারে। তার মধ্যে থেকে যদি মহিলারা প্রশাসন ও সরকারে অংশ নিতে চান তাঁদের স্বাগত। আমরা সমস্ত বৃত্তের প্রতিনিধিকে প্রশাসনে চাইছি।’ এর পাশপাশি তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, পুরোপুরি শরিয়তের আইন মেনে এই দেশ চলবে। তবে নিয়মের খসড়া এখনও তৈরি হয়নি। মহিলাদের কী মেনে চলতে হবে, তা নিয়েও স্পষ্ট কোনও নিয়ম তৈরি হয়নি। আর ঠিক এই বক্তব্য নিয়েই আতঙ্কের দিন গুনছেন মহিলারা। শুধু আফগানিস্তানে নয়, গোটা দুনিয়ার মহিলারাই উদ্বিগ্ন। সরব হয়েছেন নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই সহ দুনিয়ার বিশিষ্ট মহিলারা।