৫-জি টেকনোলজিকে সময়ের মধ্যে চালু করতে টেলিকম সংস্থার সব বড় অংশীদারকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে ৷ আজ ইন্ডিয়ান মোবাইল কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভার্চুয়াল সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি এই বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী ৷ সঙ্গে তিনি বলেন, দেশ যাতে টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিতে গ্লোবাল হাবে পরিণত হতে পারে সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যেতে হবে প্রধান টেলিকম সংস্থাগুলিকে ৷ সেখানে মোবাইল তৈরির সরঞ্জাম থেকে শুরু করে তার নকশা এমনকী প্রযুক্তিগত উন্নতিতেও দেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে হবে ৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিগত উন্নতিতে ভারতের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল ৷ আর তাই সময়ের মধ্যে ৫-জি পরিষেবাকে দেশে চালু করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে ৷ কোটি কোটি ভারতীয়কে প্রযুক্তিগত দিক থেকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে ৷ তিনি জানান, আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটি গ্রামে দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে ফাইবার-অপটিক কানেক্টিভেটি পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে টেলিকম মন্ত্রকের ৷ আর সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে আন্দামান ও নিকোবরে ফাইবার-অপটিক পরিষেবা শুরু করা হয়েছে ৷তিনি বলেন, প্রতি বছর প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে ভারতীয়রা ঘন ঘন মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন গ্যাজেট পরিবর্তন করেন ৷ আর সেই সঙ্গে বৈদ্যুতিন বর্জ্যও সমানভাবে বেড়ে চলেছে ৷ এইসব বর্জ্যকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে কম্পানিগুলিকে টাস্কফোর্স গঠনের পরামর্শ দেন তিনি ৷ বলেন, প্রযুক্তির এই দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলা সবে শুরু হয়েছে ৷ আর তাই পরিকল্পনা করা দরকার কীভাবে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে মানবজীবনকে আরও উন্নত করা যায় ৷ এবারও রিলায়েন্স জিওর হাত ধরে ফাইভ-জি সূচনা হতে পারে। আগামী বছরেই ফাইভ-জি পরিষেবা আসতে চলেছে বলে জানিয়েছেন মুকেশ আম্বানি। ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেসে মঙ্গলবার ঘোষণা করেন আগামী বছরের মাঝামাঝিতেই ফাইভ জি পরিষেবা চালু হতে পারে। বিশ্বের মধ্যে এখনও সবচেয়ে ভালো ডিজিটাল পরিষেবা ভারতে মুকেশ বলেন। সেই বিপ্লব অব্যাহত রাখতেএগিয়ে যেতে হবে ও সেই পরিষেবা সস্তায় দিতে হবে। ২০২১ এর মাঝামাঝিতে ফাইভ-জি পরিষেবা ভারত নেতৃত্ব দেবে। প্রযুক্তি হার্ডওয়ার সবকিছু ভারতের তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।