ভোট পরবর্তী হিংসার জন্য বিজেপি-কেই দায়ী করল তৃণমূল। তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, বিজেপি নেতাদের উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরেই রাজ্যে অশান্তি হচ্ছে। গন্ডগোল না করে মানুষের রায় মেনে নেওয়া উচিত বিজেপি-র। যদিও বিজেপি ওই অভিযোগকে নস্যাত্ করে প্রশ্ন তোলে, পরোক্ষে তা হলে কি অশান্তিকেই সমর্থন করছে তৃণমূল। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। এই হিংসায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অশান্তি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য কী পদক্ষেপ করেছে চিঠিতে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে তদন্তকারীদের একটি বিশেষ দলও নবান্নে এসেছে। এই অবস্থায় অশান্তির জন্য বিজেপি-র দিকেই আঙুল তুলেছে তৃণমূল। পাশাপাশি তারা জানাচ্ছে, কমিশনের হাতে আইনশৃঙ্খলা থাকাকালীনই গন্ডগোল হয়েছে। এতে তৃণমূল জড়িত নয়। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ৩ মে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপাল এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে বিজেপি। কিন্তু যেখানে নতুন সরকার শপথই নিল না। সেখানে এই হিংসার দায়ভার তাদের উপর বর্তায় কী ভাবে। হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু জানার থাকে তবে তারা কমিশনের কাছে জানুক। ৩ মে রাত পর্যন্ত যত খুন হয়েছে তার দায় কমিশন এড়াতে পারে না।” শুধু বিজেপি কর্মীরা নন, তৃণমূলেরও অনেক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সুখেন্দুশেখর। বলেন, “বিজেপি শুধু নিজেদের কর্মীর মৃত্যুর কথা বলছে। অথচ আমাদেরও অনেক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।” অন্য দিকে, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় রাজ্য জুড়ে হিংসার জন্য বিজেপি-কে দায়ী করেন। তাঁর কথায়, “বিজেপি নেতাদের উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরেই এই হিংসা হচ্ছে। বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের ভাষা গুন্ডাদের মুখে শোনা যায়। এ ছাড়া বিজেপি যে এলাকায় জিতছে সেখানে গন্ডগোল বেশি হচ্ছে। অন্য দিকে, হিংসার জন্য তৃণমূল বিজেপি দায়ী করলেও তা মানতে রাজি নয় গেরুয়া শিবির।