বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিন পশ্চিম কলকাতার একবালপুরের মহম্মদ আলী রোডে এক তরুণীর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি, ওই তরুণীকে খুন করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তার কারণ, ঘটনাস্থলে যারা ছিল তাঁরা দেখেছে ওই তরুনীর গলায় কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে নলি কাটে দেওয়ার চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ অবশ্য ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। সেই সঙ্গে ঘটনাটি নিয়ে একবালপুর থানা তদন্তও শুরু করেছে। লালবাজারের হোমিসাইড শাখাও এই বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাব্বা খাতুন নামে ওই তরুণী ওয়াটগঞ্জে দিদিমার কাছে থাকতেন। কিন্তু দিদিমার সনহে মতবিরোধের জেরে বেশ কিছুদিন ধরে রেশমা নামে এক বান্ধবীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন সাব্বা। সেই বিরোধের কারনও ছিল রেশমা। সাব্বার দিদিমা একদমই রেশমার সঙ্গে নাতনির মেলামেশা পছন্দ করতেন না। কারন রেশমা মাদক্তাসক্ত। সেই সঙ্গে বহু লোকের আনাগোনাও ছিল তাঁর বাড়িতে। কিন্তু সাব্বা রেশমার সঙ্গে ছাড়তে রাজি না হওয়ায় বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। তা থেকেই সাব্বা একবালপুরের ওয়ারিশ লেনে রেশমা বাড়িতেই তার সঙ্গে থাকতে শুরু করে দেয়। এদিন সকালে একবালপুর থানা এলাকার এমএম আলি রোডে কাগজ কুড়োনোর সময় একটি বস্তা নজরে পড়ে বেশ কয়েকজনের। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা বস্তাটি খুলতেই মেলে তরুণীর দেহে।পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, গতকাল সন্ধ্যায় ওয়ারিশ লেনে রেশমার বাড়িতেই ছিল সাব্বা। কিন্তু সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ তাঁর মোবাইলে একটি কল আসে। তারপরেই সেখান থেকে বেড়িয়ে যায় সাব্বা। রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। এমনকি দিদিমার বাড়িতেও যায়নি। এমনকি তারপর থেকেই তাঁর মোবাইলও সুইচ অফ ছিল। এরপরই এদিন সকালে তাঁর বস্তাবন্দী দেহ মেলে এমএম আলি রোডে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ নিশ্চিত যে অন্য কোথাও খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য বস্তায় ভরে সাব্বার দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছিল ওই এলাকায়। কিন্তু এই খুনের পিছনে কারন কী সেটাই এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। একই সঙ্গে ধর্ষণ বা গণধর্ষণ করে সাব্বাকে খুন করা হয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।